আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামে ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চিরকুট লিখে এক শিক্ষকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। চিরকুটে তিনি লিখেন ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’ এমন চিরকুট লিখে স্কুলশিক্ষক নজরুল ইসলাম আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে বরগুনার আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামে । নজরুল ইসলাম আমতলী সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী ছোবাহান বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
জানা গেছে, উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের মো. খালেক খানের ছেলে নজরুল ইসলামের সঙ্গে দুই বছর আগে একই গ্রামের দুলাল ভূঁইয়ার মেয়ে খাজিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছি বলে তার পরিবার সুত্রে জানা যায়। তাদের এক বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পরিবার সুত্রে আরো জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্ব›দ্ব হয়। শনিবার সকালে স্ত্রী খাজিদা বেগম তাঁর ভাশুর ফেরদৌস খানকে বলেন, ‘আমি আমার বাবার বাড়ি চলে গেলাম, আপনার ভাই আমাকে মারধর করেছে।’ এ কথা বলে স্ত্রী খাজিদা বেগম বাবার বাড়ি চলে যায়। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়রা শিক্ষক নজরুল ইসলামকে একটি আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায়।
খবরপেয়ে আমতলী থানা পুলিশ নজরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। পুলিশ নজরুলের পরিধানের কাপড়ে পেঁচানো একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে।
এঘটনায় আমতলী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপর স্ত্রী খাজিদা বেগম গা ঢাকা দিয়েছেন।
শিক্ষক নজরুল ইসলামের বড় ভাই মো. ফোরদৌস খান বলেন, ‘আমার ভাইকে তার স্ত্রী বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। তার নির্যাতন সইতে না পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীর শাস্তি চাই।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।