আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইলের ক্রমাগত হামলার মুখে অবরুদ্ধ গাজার একমাত্র ক্যানসার হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গাজায় জ্বালানি, পানি ও অন্যান্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় হাসপাতালটিতে দেয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা।
তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সুকেক সতর্ক করে বলেন, হাসপাতালের কার্যক্রম চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি পাশাপাশি কেমোথেরাপির ওষুধ ফুরিয়ে যাচ্ছে।
আল জাজিরাকে তিনি বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় সেবা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু এরইমধ্যে রেডিওলজি বন্ধ হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই বছরের শুরুতে জানিয়েছে, গাজার একমাত্র ক্যানসার হাসপাতালটিতে নয় হাজারের বেশি রোগী রয়েছে। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ক্যানসার রোগীরা চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও যেতে পারছেন না।
ডা. সুকেক বলেন, নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট পরিচালনার জন্য প্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন। অক্সিজেন সরবরাহের মেশিনের জন্যও অনেক বিদ্যুৎ প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার সকল হাসপাতাল বন্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। বিদ্যুৎ, পানি এবং ওষুধের অভাবের কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
চলমান যুদ্ধে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে রোগীদের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনিকে জেরুজালেম, পশ্চিম তীর এবং ইসরাইলের হাসপাতালে রেফার করে। যা এখন এই যুদ্ধ বিধ্বস্ত পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটছে।
৭ অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংঘাতে অন্তত তিন হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ৯৪০ শিশু এবং ১ হাজার ৩২ নারী আছেন। অন্তত ১২ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় অন্তত এক হাজার ৪০০ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। চার হাজার ৪০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।