নিউজ ডেস্ক: সরবরাহ কমে আসায় গত সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকদের দাবি টানা দেড় মাসের অনাবৃষ্টির কারণে উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে বর্তমান দামেও তারা লোকসান গুনছেন। আর ঈদের আগে আরেক দফায় সবজির দাম বৃদ্ধিতে অস্বস্তিতে ক্রেতারা।
ভোর থেকে নাটোর শহরের বৃহত্তম পাইকারি সবজির বাজার স্টেশন বাজারে কচু, চালকুমড়া, আলু, বেগুনসহ নানা ধরনের গ্রীষ্মকালীন সবজি বিক্রি করেন কৃষকরা। গত সপ্তাহের চেয়ে সরবরাহ কমে আসায় প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
শনিবার (২৪ জুন) এখানে কচু ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি, করলা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি, চালকুমড়া ৩২ থেকে ৩৫ টাকা পিস, বেগুন ৩৫ থেকে ৪২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
কৃষক সাব্বির হোসেন জানান, টানা দেড় মাস অনাবৃষ্টির কারণে গত বছরের চেয়ে এবার গ্রীষ্মকালীন সবজির উৎপাদন নেমেছে চার ভাগের একভাগে। অতিরিক্ত সেচ, সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। উৎপাদন খরচ অনুযায়ী বর্তমান দামেও লোকসান গুনছেন বলে দাবি করেন তিনি।
ক্রেতা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঈদের আগে আরেক দফায় সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছে ক্রেতারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। উপায় না থাকায় বেশি দামে সবজি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।’
আড়তদার আরিফ হোসেন জানান, সরবরাহ বৃদ্ধি না পাওয়া পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম নিয়ন্ত্রণ হবে না। আরও ২ সপ্তাহ দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
প্রতিদিন স্টেশন বাজারে ৫০০ থেকে ৬০০ মণ সবজি সরবরাহ হলেও গত সপ্তাহ থেকে ২০০ থেকে আড়াইশ মণ সবজি সরবরাহ হচ্ছে।