আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও আলবেনিয়া। তবে এমন পরিকল্পনার বিরোধীতা করেছে চীন। এক বিবৃতিতে বেইজিং জানিয়েছে, এমন পদক্ষেপ নেয়া হলে তাতে সংঘাত ও বৈরিতা আরও বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে উত্তর কোরিয়ার। কোরীয় উপদ্বীপে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে যখন দফায় দফায় মহড়া চালাচ্ছে মার্কিন সেনারা, ঠিক তখন একের পর এক ব্যালিষ্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে পাল্টা জবাব দিয়ে যাচ্ছেন কিম জং উন।
এমন পরিস্থিতেই নতুন করে আগুনে ঘি ঢালতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, আলবেনিয়া ও জাপান এই বৈঠক অনুষ্ঠানের অনুরোধ জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে ন্যূনতম ৯টি ভোটের প্রয়োজন। সেটি পাওয়ার ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী।
বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলে উত্তর কোরিয়া প্রশ্নে এটি হবে ২০১৭ সালের পর ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার বিরোধীতা করেছে চীন। এক বিবৃতিতে বেইজিং জানিয়েছে, এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া হলে তাতে সংঘাত ও বৈরিতা আরও বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চীনের জাতিসংঘ মিশনের মুখপাত্র বলেছেন, এ ধরনের বৈঠকে অর্থকরী কিছু যোগ হবে বলে মনে করে না চীন। শি প্রশাসন এমন পদক্ষেপের বিপক্ষে বলেও জানান তিনি। চীনের জাতিসংঘ মিশনের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা নয়।’
এদিকে বৈঠক আয়োজনের মার্কিন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এক বিবৃতিতে কিম প্রশাসন জানিয়েছে, মানবাধিকার ইস্যুতে উত্তর কোরিয়া নয় বরং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়েই আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।