কর ও অস্ত্র মামলায় দোষ স্বীকার হান্টার বাইডেনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুটি আয়কর সংক্রান্ত অপরাধ ও মাদকসেবী থাকাকালীন অবৈধভাবে বন্দুক রাখায় দোষ স্বীকারে সম্মত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ জুন) আদালতে প্রসিকিউটররা এক নথিতে এ কথা জানিয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডেলাওয়্যারের অ্যাটর্নি এ সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। যেটা থেকে দোষ স্বীকার বিষয়ক একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ওই চুক্তির মাধ্যমে বাইডেনপুত্র কারাদণ্ড এড়াতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আবেদন চুক্তির বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিক জানা যায়নি, তবে সেগুলোকে ফেডারেল বিচারকের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে। কর ফাঁকির মামলায় দোষ স্বীকার করার আবেদন জানাতে হান্টার বাইডেন সশরীরে আদালতে উপস্থিতি হবেন কিনা তাও এখন নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
 
হান্টারের আইনজীবী ক্রিস ক্লার্ক বলেন, এই মামলায় হান্টারের আদালতে হাজিরা এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে ডেলাওয়্যারের মার্কিন অ্যাটর্নি ডেভিড ওয়েইস হান্টারের বিরুদ্ধে দুটি প্রমাণ দাখিল করেছেন। একটি কর সংক্রান্ত অপরাধের জন্য, অন্যটি অবৈধভাবে বন্দুক রাখার অভিযোগে।
হান্টারের বিরুদ্ধে আনা দুটি কর সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে তার করযোগ্য আয় ছিল ১৫ লাখ ডলারের বেশি। তবে সে সময় তিনি আয়কর দিতে ব্যর্থ হন। অপরদিকে ওই দুই বছরের জন্য আইআরএসের কাছে এক হাজার ডলারেরও বেশি বকেয়া কর ছিল তার।
 
আগ্নেয়াস্ত্রের অভিযোগে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং আড়াই লাখ ডলার জরিমানা হতে পারে হান্টার বাইডেনের।
 
এমন একটি সময় হান্টার বাইডেন তার দোষ স্বীকার করতে চলেছেন যখন কয়েকজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা এবং প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তার বাবা জো বাইডেনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য বিচার বিভাগকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন।
হান্টার দীর্ঘদিন ধরেই রক্ষণশীল রিপাবলিকান নেতাদের সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু হয়ে আছেন। এমনকি লবিস্ট হিসেবে বিদেশে কাজ করার সময় তিনি দুর্নীতি করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
 
হান্টারের দোষ স্বীকার করে নেয়ার চুক্তি নিয়ে তীব্র সমালোচনায় মেতেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কংগ্রেসে রিপাবলিক দলের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্য।
 
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ছেলেকে ভালোবাসেন এবং তার জীবন পুনর্গঠনে যে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন সেটিকে সমর্থন করেন। আমাদের এ বিষয়ে আর কিছু বলার নেই।’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *