খেলাধুলা:ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সংস্কার বাজেট মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটু। খুব শিগগিরই মাঠ ভরাটের কাজ শুরু করবে বিসিবি। তবে স্টেডিয়ামের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কারের কাজ করবে জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা। তবে কবে নাগাদ স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ শুরু হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন বিসিবির এই পরিচালক।
২০০০ সালে উদ্বোধনের পর থেকে অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম। এই মাঠেই ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। শেন ওয়ার্ন, রিকি পন্টিংদের পা পড়া মাঠ এখন মশার প্রজনন কেন্দ্র। জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়েছে স্টেডিয়ামের অবকাঠামো। বর্ষা এলেই খেলার অনুপযোগী হয়ে যায় মূল মাঠ। আর দীর্ঘ ছয় বছর ধরে তলিয়ে থাকা ফতুল্লার আউটার গ্রাউন্ড তো সাপ আর ব্যাঙের অভয়ারণ্য। চুরি হয়ে গেছে স্টেডিয়ামের মূল্যবান জিনিসপত্রও। ভেঙে গেছে গ্যালারির শেড আর ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে একমাত্র প্রেস বক্সটি।
দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার কাছে স্টেডিয়ামটি সংস্কারের দাবি করে আসছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তাতে কোনো লাভ না হওয়ায় বিসিবি নিজ উদ্যোগে ভরাট করে মাঠ উঁচু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্টেডিয়ামের আউটার মাঠ ও মূল মাঠ ৬ ফুট উঁচু করে খেলার উপযোগী করে তোলা হবে। সেই সঙ্গে এনএসসি থেকেও সবুজ সংকেত পেয়েছে ফতুল্লা স্টেডিয়াম। মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে স্টেডিয়ামটির সংস্কার বাজেট। মাঠ তৈরির কাজ বিসিবি করলেও অবকাঠামো গ্যালারি সংস্কারের কাজ করবে জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা।
এর আগে ফতুল্লা স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য প্রায় ২৫০ কোটি টাকার বাজেটের কথা জানিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। মন্ত্রিসভায়ও সংস্কার বাজেট পাঠানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ফতুল্লায় মোট ১৪টি পিচ তৈরির পরিকল্পনা করছে বিসিবি। যেখানে মূল মাঠে ৭টি ও স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে ৭টি পিচ নির্মাণ করা হবে।