আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিচারব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিবাদে গত কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ হলেও তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই নেতানিয়াহু সরকারের। সাধারণ মানুষের আন্দোলনকে পাত্তা না দিয়েই প্রস্তাবটি পাসে আগামী সোমবার (২৪ জুলাই) পার্লামেন্টে ভোটাভুটির নেয়া হবে।
মার্কিন বার্তাসংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টানা ৭ মাসের বেশি সময় ধরা চলা আন্দোলনের তোয়াক্কা না করে আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত ভোটের মাধ্যমে বিচারব্যবস্থা সংস্কার আইন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন ইসরাইলের বাসিন্দারা।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাতে ইসরাইলের জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় নামেন শত শত ইসরাইলি। তেল আবিবের প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় আন্দোলনকারীদের দমনে কঠোর অবস্থানে যায় নিরাপত্তা বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের লক্ষ্য করে ব্যবহার করা হয় জলকামান।
সোমবারের ভোটাভুটিকে সামনে রেখে এরইমধ্যে বড় ধরনের গণজমায়েত করতে জেরুজালেমে জড়ো হচ্ছেন ইসরাইলে সাধারণ মানুষ। খোলা আকাশের নিচে তাবু টানিয়ে করছেন রাত্রিযাপন। যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্রর রক্ষায় নেতানিয়াহু সরকারের এই সংস্কার প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
গত সপ্তাহে বিচারব্যবস্থার সংস্কার সংক্রান্ত বিতর্কিত বিলের ওপর প্রথম দফার ভোটাভুটি হয় ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটে। প্রথম দফায় নেসেটের ১২০টি আসনের মধ্যে ৬৪টি আসন নিশ্চিত করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। বিলটি আইনে পরিণত হতে আরও দুই দফা ভোটের কথা থাকলেও তড়িঘড়ি করে আগামী সোমবার শুধুমাত্র পার্লামেন্টের সদস্যদের উপস্থিতিতে এ আইনটি বাস্তবায়নে মরিয়া নেতানিয়াহু।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ইসরাইলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কট্টরপন্থি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমিয়ে বিচারব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ নেন তিনি। নতুন সংশোধনীতে, সুপ্রিম কোর্টের যে কোনো সিদ্ধান্ত বাতিলের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে ইসরাইলের পার্লামেন্টকে। সমালোচকরা বলছেন, নিজের দুর্নীতির সাজা থেকে রেহাই পেতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।