আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এ হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩১টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) গাজার এনডাউমেন্টস অ্যান্ড রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তুর্কি ও অ্যারাবিয়ান সংবাদমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের হামলায় গাজা উপত্যকায় মোট ৩১টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এর আগে শনিবার (২১ অক্টোবর) মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি বোমা হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ২৬টি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে।
মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইসরাইলি বিমান হামলায় আরও ডজন খানেক মসজিদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। তাছাড়া, ইহুদি সেনা আগ্রাসনে গুড়িয়ে গেছে মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর, কোরআন আর্কাইভ বিভাগ ও রেডিও স্টেশন। চলমান সংঘাতে উপত্যকার একটি গির্জাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। দেশটির হামলায় ফিলিস্তিনে বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। অনেক বাড়ি-ঘরও ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া গাজা উপত্যকার প্রায় অর্ধেক মানুষই এখন বাস্তুহারা।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় রাতভর ইসরাইলি বিমান হামলা ৫৫ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (২২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
গাজায় হামাসের প্রেস অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার (২১) অক্টোবর গাজায় রাতভর ইসরাইলের চালানো হামলায় ৫৫ জন নিহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলা জোরদার করার ঘোষণার পর এই হামলা চালানো হয়। এতে ৩০টিরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।
চলতি মাসের ৭ অক্টেবর ইসরাইলে অতর্কিত রকেট হামলা করে হামাস। একই সঙ্গে ইসরাইলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে দেশটির ভেতরে ঢুকে পড়ে হামাস যোদ্ধারা। তাদের এ হামলায় ইসরাইলের ১৪০০ মানুষ নিহত হন। আর আহত হন অন্তত চার হাজার। গত ৫০ বছরের ইতিহাসে কোনো হামলায় ইসরাইলের এত মানুষের প্রাণ গেল।
অন্যদিকে হামাসের সেই হামলার পর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। তাদের এ হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪ হাজার ৩৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ৭৫৬ শিশুও রয়েছে।