আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার আল-কুদস হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। রোববার (২৯ অক্টোবর) এক্স পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট।
আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক্স পোস্টে রেড ক্রিসেন্ট লিখেছে, ইসরাইল এই হাসপাতালে বোমা হামলা চালাবে।
রেড ক্রিসেন্ট আরও জানিয়েছে, রোববার সকাল থেকে আল-কুদস হাসপাতালের ৫০ মিটারের মধ্যে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।
রেড ক্রিসেন্টের এমন তথ্য জানানোর পর এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক ট্রেডোস আধানম গ্রেব্রিয়াসিস। তিনি বলেন, রোগী থাকা অবস্থায় কোনোভাবেই হাসপাতাল খালি করা সম্ভব নয়।
গ্রেব্রিয়াসিস এক্স পোস্টে লিখেছেন ,আমরা জোর দিয়ে বলছি রোগীতে পূর্ণ হাসপাতাল কোনোভাবেই খালি করা সম্ভব নয়। এতে রোগীদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসেবার নিরাপত্তা সব সময় নিশ্চিত করতে হবে।’
এদিকে ইসরাইল দাবি করছে, হামাস গাজার হাসপাতালগুলোকে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। বিশেষ করে আল-শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ ও কমান্ড সেন্টার থাকার কথা জানিয়েছে তারা।
তবে হামাস জানিয়েছে, হাসপাতালে তাদের কোনও ধরনের কমান্ড সেন্টার বা এ ধরনের কোনও আস্তানা নেই।
এর আগে ১৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজার আল-আহলি হাসপাতালে বোমা হামলায় নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হামাস এই হামলার জন্য ইসরাইলি বাহিনীকে দায়ী করলেও ইসরাইল সেনাবাহিনী এই হামলার দায় শুরু থেকেই অস্বীকার করছে। ইসরাইল দাবি করেছে, প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ-এর উৎক্ষেপণ করা একটি রকেট ভুলক্রমে হাসপাতালে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অতর্কিত রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এই হামলার জবাবে সেদিন থেকে গাজায় অবিরাম বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। এই হামলায় এখন পর্যন্ত আট হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ হাজারেরও বেশি শিশু রয়েছে। আর আহত হয়েছেন অন্তত ২০ হাজার।