মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, গাইবান্ধা।
গাইবান্ধা সদরের খামার বোয়ালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার খামার বোয়ালী জামে মসজিদের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মোঃ আব্দুস সালাম (৫৫) ও তার স্ত্রী মোছাঃ রাশেদা বেগম (৪৫)। থানার এজহার
সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মোঃ আব্দুস সালাম মসজিদ থেকে বাড়ী ফেরার সময় মোঃ মফজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় ১০/ থেকে ১২ জন লোক লাঠিসোটা, ধারালো ছোড়া দিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটায়। গুরুতর আহতদের গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মোঃ আব্দুস সালাম ।
বাদী মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, মোঃ মফজ্জল হোসেনের হুকুমে সেসহ অন্যান্য আসামীগণ আমাকে এলোপাতারীভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেলা ফুলা কালশিরা জখম করে। আসামী মোঃ মিঠু মিয়া তার দুই হাত দ্বারা আমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ৫ করে হত্যার চেষ্টা করে। সে সময় পার্শ্ব হতে আমার স্ত্রী মোছাঃ রাশেদা বেগম (৪৫) উক্ত ঘটনা দেখে আসামী মিঠু মিয়াকে ধাক্কা মেরে কোনমতে আমাকে প্রাণে রক্ষা করে। আসামী মোঃ এনামুল হক তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্ত্রীর মাথায় স্বজোরে আঘাত করে থেতলানো রক্তাক্ত জখম করে। আসামী মোঃ ওয়াহেদ আলী তার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্ত্রী মোছাঃ রাশেদা বেগমের মাথার পিছন পার্শ্বে স্বজোরে চোট মেরে গুরুত্বর রক্তাক্ত হাড়কাটা জখম করে। আসামী মোঃ নায়েব আলী আমার স্ত্রীর মাথার চুলের মুঠি ধরে টানা হেচড়া করতে থাকে এবং লাথি গুড়ি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। আসামী মোঃ এনামুল হক, মোঃ ওয়াহেদ আলী এবং মোঃ রেজাউল করিম রেজা আমার স্ত্রী রাশেদা বেগমের পড়নের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। আসামী মোঃ সাইদার রহমান আমার স্ত্রী রাশেদা বেগমের গলায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন যার মূল্য-৭০,০০০টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে খুলে নেয়। পরে আমি বাদী হয়ে ২৩ আগস্ট রাতে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম খন্দকার বলেন, লিখিত অভিযোগ দেখে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।