আন্তর্জাতিক ডেস্ক :জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষর হওয়া ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়ার কথা ভাবছে রাশিয়া। আগামী জুলাইয়ের ১৮ তারিখ পর্যন্ত রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর ব্যবহার করে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি করার সুযোগ দেবে। এরপর থেকে তা বন্ধ হয়ে যাবে।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভার্শিনিন মঙ্গলবার (২০ জুন) রুশ সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তবে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনার বিষয়টিও উড়িয়ে দেননি তিনি। ভার্শিনিন বলেছেন, ‘এই ইস্যুতে বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছে রাশিয়া। তবে আমরা বলেছি, সেটিও আমরা করতে যাচ্ছি। আগামী ১৮ জুলাই থেকে চুক্তিটির কার্যকারিতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে আমরা প্রস্তুত হচ্ছি।’
এর আগে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির শর্ত অনুসারে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর হয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির সুযোগ দেবে। বিপরীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার খাদ্যশস্য রপ্তানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তা তুলে নিতে হবে।
প্রথমে চুক্তিটি ১২০ দিনের জন্য করা হলেও পরে রাশিয়া বেশ কয়েক দফায় চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়। তবে রাশিয়া বারবার অভিযোগ করেছে, এই চুক্তির মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল তা তারা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাশিয়া যদি এই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় তবে চুক্তির শর্ত অনুসারে আগামী ১৭ জুলাই চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে।