আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইলন মাস্ক যে দামে টুইটার কিনেছিলেন এখন তার দাম দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ফিডেলিটি এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের।
ইলন মাস্ক স্বীকার করেছেন, ২০২২ সালে ৪৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে টুইটার কেনা হয়েছিল। তার মতে, তিনি বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দিয়ে কিনেছিলেন।
সম্প্রতি তিনি বলেন, যে পরিমাণ অর্থ দিয়ে তিনি টুইটার কিনেছিলেন বর্তমানে তার দাম অর্ধেকেরও কম।
ফিডেলিটি জানায়, টুইটার ৪৪ বিলিয়ন (৪ হাজার ৪০০ কোটি ) ডলার দিয়ে কিনলেও গত মার্চ পর্যন্ত টুইটারে দুই-তৃতীয়াংশ বা ৬৭ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে। অর্থাৎ টুইটারের বর্তমান মূল্য ক্রয়মূল্যের ৩৩ শতাংশ। ক্যালকুলেটরের হিসেবে ২৯ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন বা (২ হাজার ৯৪৮ কোটি) ডলার হারিয়ে টুইটারের বর্তমান মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন (১ হাজার ৪৫২ কোটি) ডলারে।
ফিডেলিটি আরও জানায়, গত নভেম্বরে টুইটারের শেয়ারের মূল্য দেখিয়েছিল ইলন মাস্কের ক্রয় মূল্যের ৪৪ শতাংশ। এরপর ডিসেম্বর এবং ফেব্রুয়ারিতে টুইটারের মূল্য আরও কমেছে। এরপর থেকে লাগাতার শেয়ার বাজারে ধাক্কা খেয়ে চলেছে ইলন মাস্ক।
ইলন মাস্ক দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে টুইটার আর্থিকভাবে সংকটে রয়েছে। ১৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণের ধাক্কায় টুইটার। ইলন মাস্কের অনিয়মিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণ করার চ্যালেঞ্জের কারণে টুইটারের বিজ্ঞাপন আয় ৫০ শতাংশ কমে যায়।
আয় বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। টুইটারের ব্লু সাবস্ক্রিপশন বিক্রি করে সেই অর্থ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির মাত্র এক শতাংশ ব্যবহারকারী ব্লু টিকের সাবস্ক্রিপশন নিয়েছেন।
এর আগে এপ্রিলে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে টুইটার পরিচালনা করা খুবই কষ্টকর ও যন্ত্রণাদায়ক বলে মন্তব্য করেন মাস্ক। এই বিলিয়নিয়ার আরও বলেন, উপযুক্ত ক্রেতা পেলে টুইটার বিক্রি করে দেবেন।