ডেঙ্গু পরীক্ষায় সক্ষম শাবিপ্রবির করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব

স্বাস্থ্য ডেস্ক: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষার প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জামাদি রয়েছে। এ অবস্থায় ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ল্যাবটি ব্যবহার করতে কোনো বাধা নেই।

সোমবার (৩১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ডিটেকশন ল্যাবের ইনচার্জ ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাম্মাদুল হক সময় সংবাদকে এ তথ্য জানান।


তিনি বলেন, ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ডিটেকশন ল্যাবের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সহায়তা প্রয়োজন। আমাদের ল্যাবটিতে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য আলাদা কিট লাগবে। সরকারি বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো সিদ্ধান্ত আসলে আমাদের ল্যাব থেকে তা বাস্তবায়ন করতে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটবে না।’

ল্যাব সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণ বিভিন্ন পদ্ধতিতে শনাক্ত করা হয়। তার মধ্যে অ্যান্টিজেন, অ্যান্টিবডি পরীক্ষা বা আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে নিউক্লিক অ্যাসিড এমপ্লিফিকেশন টেস্ট উল্লেখযোগ্য। এ টেস্ট সরকারি বা প্রাইভেট হসপিটাল ছাড়াও শহর অঞ্চলে প্রায় সব ডায়াগনস্টিক সেন্টার করে থাকে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ডিটেকশন ল্যাবের যন্ত্রাদি ব্যবহার করেও ডেঙ্গু নির্ণয় করা সম্ভব।

শাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন বলেন, ‘ডেঙ্গু সচেতনতায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা করোনা দুর্যোগে ল্যাবের করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে দেশবাসীর পাশে ছিলাম। যেহেতু ল্যাবটিতে ডেঙ্গু পরীক্ষার যন্ত্রাদি আছে, সেহেতু সরকারের নির্দেশনা আসলে আমাদের সক্ষমতা দিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষার বিষয়টিতেও আমরা দায়িত্ব পালন করে যাব।’
উল্লেখ্য, করোনা দুর্যোগকালীন ২০২০ সালের ১৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে শাবিপ্রবিতে এ আরটি পিসিআর ল্যাবটি চালু করা হয়। ল্যাব চালু হওয়ার পর করোনা শনাক্তকরণ কাজ নিয়ে দেশবাসীর নিকট প্রশংসা কুড়িয়েছে।

এরই মধ্যে শাবিপ্রবির এ করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর মাধ্যমে ‘জেনোমিক সার্ভিলেন্স অব সার্স কোভিড-২ অ্যান্ড ন্যাশনওয়াইড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অ্যাক্রস বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জিনোম সিকোয়েন্স প্রযুক্তি স্থাপনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও এ ল্যাব থেকে সিলেট বিভাগের চার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে জিন বিন্যাস (জিনোম সিকোয়েন্স) উন্মোচন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *