তামিমের অবসরের আগের রাতে টিম হোটেলে অদ্ভুত পরিস্থিতি

 খেলার ডেস্ক: বোর্ড ও কোচের সঙ্গে বিরোধের জেরে ক্ষোভ এবং অভিমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তামিম ইকবাল – এমনটা মন্তব্য করেছেন তার স্বজনরা। কয়েক দিন ধরে তামিমের ফিটনেস নিয়ে আলোচনা চলায় ম্যাচ খেলে নিজের ফিটনেসের প্রমাণ দিতে চেয়েছিলেন তামিম। তবে বোর্ড কর্মকর্তা এবং কোচ তা মানতে রাজি না হওয়ায় তামিমের এমন সিদ্ধান্ত। এ প্রক্রিয়ায় জাতীয় দলের এক প্রভাবশালী সদস্যের ইন্ধনও থাকতে পারে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছাড়াও নানা পরিচয়ে পরিচিত তামিম ইকবাল খান। চাচা আকরাম খান বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক; বর্তমানে বিসিবির পরিচালক। বড় ভাই নাফিস ইকবাল খানও খেলেছেন জাতীয় দলে। ফুপা সিরাজ উদ্দিন আলমগীর মোহাম্মদ বিসিবির সাবেক পরিচালক; বর্তমানে যিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি।

বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর হোটেলে ফিরতেই শুরু হয় তামিমের অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের ঘটনাচক্র। তীব্র বাগ্‌বিতণ্ডার পাশাপাশি চিৎকার চেঁচামেচিও হয় হোটেল কক্ষে। সেখান থেকে তামিম সিদ্ধান্ত নেন অবসরে যাওয়ার। তবে স্বজনরাও স্বীকার করেছেন নিজের ফিটনেসসহ নানা বিষয়ে ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা ছাড়াও কোচ হাথুরুসিংহের সঙ্গে তামিমের বিরোধ ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে যা চরম আকার ধারণ করে।
 
তামিমের অবসর প্রসঙ্গে বিসিবির সাবেক পরিচালক সিরাজ উদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘বোর্ড এবং হাথুরুসিংহের সঙ্গে তার দেনদরবারের একটা বিষয় আছে। সবাই বলছে, হুট করে সিরিজের মাঝখানে এসব হয়েছে। তবে তামিমের মানের একজন খেলোয়াড় হুট করেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি, সে ভেবেচিন্তেই নিয়েছে।’
বোর্ড এবং কোচের দ্বন্দ্বের বলি শুধু তামিম একা নয়, এর আগে ক্রিকেট থেকে মাশরাফীর সরে যাওয়ার পেছনেও একই সমীকরণ ছিল বলে মনে করছেন এ ক্রীড়া সংগঠক। ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে এবং এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত কিছু বিষয় আছে যেটা সবার ঊর্ধ্বে। রাগ-ক্ষোভও থাকতে পারে তার মধ্যে।’
 
তামিম ইকবালের সরে যাওয়ার পেছনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একজন প্রভাবশালী সদস্যেরও হাত আছে – এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। যদিও তার নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি কেউ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *