তুরস্কে রানঅফ নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কে রানঅফ নির্বাচনে তুর্কি নাগরিকদের সবাইকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে শনিবার (২৭ মে) এক টুইটার বার্তায় এই আহ্বান জানান এই তুর্কি নেতা। জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তুরস্কের বিজয়ের জন্য আসুন আগামীকাল আমরা একসঙ্গে ভোট দিতে যাই।

তুরস্কে গত ১৪ মে’র প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন রানঅফ বা দ্বিতীয় ধাপে গড়ায়। আগামী পাঁচ বছরের জন্য তুরস্কের শাসনভার কার হাতে যাবে তা নির্ধারণে দেশটিতে রোববার (২৮ মে) দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। ভোট দিতে দেশটির ৬ কোটির বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছে। প্রথমবার ভোট দিচ্ছেন ৪ কোটি ৯০ লাখ মানুষ। ভোটারদের জন্য দেশজুড়ে ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৮৫টি ব্যালট বাক্স প্রস্তুত করা হয়েছে।
তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের মতে, ইতোমধ্যে তুরস্কের প্রবাসী এবং শুল্ক গেটে ১৮ লাখ ৯৫ হাজার নাগরিক আগাম ভোট দিয়েছেন। 
 
প্রথম ধাপের ভোটে এরদোয়ান পেয়েছিলেন ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট। প্রতিপক্ষ কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছিলেন ৪৪.৯৫ শতাশ। তুরস্কের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, ভোটের ফল চূড়ান্ত হওয়ার পর যদি কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পান, তবে ২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন হবে।
 
এরদোয়ান টানা ২০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে তুরস্কের ক্ষমতায় রয়েছেন। আরও পাঁচ বছর তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকছেন কি না, সেটা নির্ধারিত হবে রোববারের ভোটের মধ্যদিয়ে। এরদোয়ানের অভিযোগ, কেমাল ঘৃণা ছড়াচ্ছেন। বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। কামাল জয়ী হলে সন্ত্রাসবাদের জয় হবে।
 
প্রথম দফার ভোটের ফলে এরদোয়ানের চেয়ে প্রায় ২৫ লাখ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন কামাল। বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রভাবক হতে পারেন নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে থাকা সিনান ওগানের সমর্থক ও প্রথম দফায় ভোটকেন্দ্রে না যাওয়া প্রায় ৮০ লাখ ভোটার। যে প্রার্থী এসব ভোটারের ভোট টানতে পারবেন, তিনিই শেষ হাসি হাসবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *