দাবানলের কারণে ঘন ধোঁয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কানাডায় ভয়াবহ দাবানলের কারণে ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সেই ধোঁয়া পৌঁছে গেছে পার্শ্ববর্তী দেশ যুক্তরাষ্ট্রেও। ধোঁয়ার কারণে বাতাসের মান খারাপ হওয়ায় দেশ দুটির লাখ লাখ মানুষকে ঘরের বাইরে মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। খবর বিবিসি ও সিবিএস নিউজের।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে কানাডা। মূলত দেশটির কুইবেক প্রদেশের দেড় শতাধিক স্থানে আগুন জ্বলছে। নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণ চেষ্টা চলছে। কিন্তু কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না আগুন। দাবানলের ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে টরেন্টো, অন্টারিও ও কুইবেকের বিভিন্ন এলাকা।

এরই মধ্যে দাবানলের কারণে সৃষ্ট ধোঁয়া চলে গেছে প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রেও। এমনকি দাবানলের এই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে নিউইয়র্ক সিটি এবং কানেকটিকাটেও। সেখানকার বাতাসকে দূষিত ও অস্বাস্থ্যকর বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। পাশাপাশি ওইসব অঞ্চলের অধিবাসীদের মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

শুধু পরামর্শই নয়, সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) থেকে নিউইয়র্কে বিনা পয়সায় মাস্ক বিতরণ করা শুরু হয়েছে। এদিকে কানাডাও বলেছে, মানুষ যদি ঘরে থাকতে না পারে এবং বাইরে বের হয় তাহলে তাদের মাস্ক পরা উচিত। দেশটির কর্মকর্তা বলেছেন, বিপদজনক এই ধোঁয়াটে অবস্থা পুরো সপ্তাহ ধরে চলতে পারে।
 
বুধবার (৭ জুন) নিউইয়র্ক গভর্নর ক্যাথি হচুল জানান, নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের মধ্যে ১০ লাখ মাস্ক বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘এটা একটা সাময়িক পরিস্থিতি। এটা করোনা মহামারি নয়।’ গভর্নর হচুল আরও বলেন, নিউইয়র্ক শহরের বাস ও ট্রেনে উচ্চ মানসম্পন্ন বাতাস পরিশোধনের ব্যবস্থা রয়েছে যার কারণে এগুলো নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করে।
কানাডার পরিবেশ বিভাগ বলেছে, টরেন্টোর অবস্থা আরও খারাপ হবে। কারণ আরও বেশি ধোঁয়া বাতাসে ছড়িয়ে পড়বে। বৃধবার (৭ জুন) এক বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিনে সংস্থাটি বাইরে থাকা সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়। বার্তায় বলা হয়, এই ক্ষুদ্র উপাদানগুলো সাধারণত স্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। শ্বাসযন্ত্রগুলো দাবানলের ধোঁয়ায় থাকা গ্যাসের সংস্পর্শে আসা কমায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *