দিনাজপুর প্রতিনিধি : বৈশ্বিক আবহাওয়ার বিরূপ আচরণের প্রভাবে ঠাণ্ডাজনিত রোগ-জীবাণুর ধরন পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে শিশুরা ছাড়াও বৃদ্ধ নারী-পুরুষসহ আক্রান্ত হচ্ছে সব বয়সী মানুষ। শিশুদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি ঠাণ্ডা জায়গায় এবং সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
দিনাজপুর অরবিন্দ শিশু হাসপাতালসহ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সাড়ে ৪ শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুরা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভুগছেন। দিনে হালকা গরম, রাতে শীতের ঠাণ্ডা। এতে হঠাৎ করে জ্বর-সর্দি ও কাশি, নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন অরবিন্দ শিশু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে। বাড়িতে কোনো সমাধান না হওয়ায় হাসপাতালে আসতে হয়েছে অনেককে-এমনটাই বললেন শিশু রোগীর পরিবাররা।
অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৩০ শয্যার অরবিন্দ শিশু হাসপাতালের আউটডোরে শিশুদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় দেড় শতাধিক শিশুর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
দিনাজপুরের অরবিন্দ শিশু হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনীন্দ্রনাথ রায় জানান, বহির্বিভাগেও প্রতিদিন আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের দায়িত্বরতদের। এ ছাড়া আউটডোরে প্রতিদিন ডায়রিয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছে অনেকে। বর্তমানে ১৩০ জন শিশু বিভিন্ন ঠাণ্ডাজনিত রোগে এখানে ভর্তি রয়েছে। শীত মৌসুমের শুরুতে শিশুদের গরম কাপড় গায়ে দেওয়া, ঠাণ্ডা যেন না লাগে খেয়াল রাখার পাশাপাশি শিশুদের সুষম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন এই শিশু বিশেষজ্ঞ।