নওগাঁয় লাম্পি স্কিন ডিজিজে শতাধিক গরুর মৃত্যু, উদ্বিগ্ন খামারিরা

অনলাইন ডেস্ক: নওগাঁর পল্লি অঞ্চলে লাম্পি স্কিন ডিজিজের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত ১০ দিনে জেলায় এ রোগে শতাধিক গরু মারা গেছে। এতে চরম আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তায় কৃষক ও খামারিরা। তবে আতঙ্কিত না হয়ে খামারিদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ প্রাণিসম্পদ বিভাগের।

সরেজমিন দেখা যায়, প্রথমে গরুর চামড়ায় এক ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। পরে দু-এক দিনের মধ্যে গরুর শরীরজুড়ে গুটি গুটি হয়ে ঘায়ে পরিণত হচ্ছে। এ সময় গরুর শরীরে ১০৪-১০৬ ডিগ্রি তাপমাত্রার জ্বর থাকে। সেই সঙ্গে গরুর বুকের নিচে পানি জমে সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষত।

ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ নামের এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে নওগাঁর প্রান্তিক গো-খামারে। গত ১০ দিনে জেলার মহাদেবপুর, পত্নীতলা, সাপাহার, ধামুইরহাট মান্দা ও আত্রাই উপজেলার পল্লি অঞ্চলে শতাধিক গরু মারা গেছে।  প্রান্তিক পর্যায়ে পশুপালনের মাধ্যমে আর্থিক সচ্ছলতা খোঁজেন গ্রামীণ নারীরা । কিন্তু হঠাৎ ভাইরাসজনিত এমন সংক্রমণে এসব পশু নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন তারা।
ভীমপুর ইউনিয়নের ভান্ডারপুর গ্রামের কয়েকজন নারী জানান, গত তিন দিনে এ গ্রামে ৪টি পশু এ রোগে মারা গেছে । এ ছাড়া অনেক টাকা খরচ করেও গরুর রোগ সারছে না। ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু নিয়ে যাচ্ছে পশু চিকিৎসকরা কোনো কাজ হচ্ছে না।
পশুতে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস নির্মূলে মাঠপর্যায়ে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ । আর আক্রান্ত পশুর রোগ নিরাময়ে সরকারিভাবে দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহের আহ্বান স্থানীয় জনপ্রতিনিধির।
ভীমপুর ইউনিয়ন পষিদের চেয়ারম্যান শ্রী রাম প্রসাদ ভদ্র বলেন, ‘আমরা উপজেলা পরিষদ থেকে অর্থ চেয়েছি, যাতে আক্রান্ত পশুকে বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন দেয়া যায়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মহির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন ১৫ হাজার পেয়েছি । কিন্তু আরও দরকার।
মশা ও মাছির মাধ্যমে এ ভাইরাস দ্রুত ছড়ায়। তাই আক্রান্ত পশুকে নিরাপদ সুরক্ষায় রেখে চিকিৎসা দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন পশু চিকিৎসকরা।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, জেলায় ২৪ হাজার ছোট-বড় গো-খামারে প্রায় ২৫ লাখ পশু লালনপালন করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *