মিথুন কর্মকার , বরগুনা
আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচনে ভোটে লড়তে মাঠে সরব রয়েছেন প্রার্থীরা। বিভিন্ন হাটে-বাজারে চা স্টলে জমে উঠছে নির্বাচনী আলাপ আলোচনা।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা নানান ধরণের সেবামূলক কাজ নিয়ে এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
আগামী ৫ জুন ২০২৪ তারিখে চতুর্থ ধাপে
ষষ্ঠ আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
৫ জুন নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে প্রার্থী হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারাই অংশগ্রহণ করছেন। আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান সহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আরো তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১. যুবলীগ নেতা এলমান উদ্দিন আহমেদ সুহাদ (মটরসাইকেল), ২. আলতাফ হোসেন হাওলাদার (উঠ পাখি), ৩. মো. মোশারেফ হোসেন মোল্লা (ঘোড়া) মার্কায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পদপ্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন সাবেক আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান।
আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান ১৯৯৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন থেকে। ২০০১ সালে বরগুনা- ৩ আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ওই আসন থেকে নির্বাচিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২০০২ সালে প্রধানমন্ত্রী ওই আসন ছেড়ে দিলে তিনি উপনির্বাচনে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন। বিনএপি ক্ষমতায় থাকায় ওই আসন থেকে মতিয়ার রহমান তালুকদার নির্বাচিত হন।এরপর ২০০৪ সালে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস নিজ অর্থায়নে তৈরি করেন। তিনি দীর্ঘদীন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই আসন কেটে বরগুনা-১ করেন। ২০০৮ সালে তিনি নমনিশেন চেয়েছিলেন কিন্ত ওই আসন থেকে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে নমিনেশন দেয়া হয়।২০১৪ তে ও চেয়েছিলেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু নৌকা পান। ২০১৮ তে তিনি জনপ্রিয় ছিলেন কিন্তু ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু নমিনেশন পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন । ২০১৯ সালে আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ব্যাপক ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। তার জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে কিছু কুচক্রী ও হাইব্রিড নেতারা তার পিছনে লেগে যায়।এর ফলে উচ্চ আদলতে রায়ে ২০২২ সালে ক্ষমতা হারান। ২০২২ সালে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন প্রতিপক্ষ গ্রুপ তার ছেলেকে আহত করে।
এরপর ১৯ নভেম্বর সম্মেলনের কিছু দিন পরে প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশক্রমে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। এই নিয়েও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ ৭ জুন তাকে সরিয়ে মতিয়ার রহমানকে সভাপতি করে কমিটি ঘোষনা করেন । এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে পড়ে ।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শুধু একটাই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে- আমতলী উপজেলা বাসীর স্বপ্ন পূরণে আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকানের বিকল্প কে? ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় একজন জনবান্ধব মানুষ হিসেবে সু-পরিচিতি লাভ করেছেন। এলাকায় তার জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। নির্বাচনের আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন তিনি। খোজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকাবাসীর কাছে অত্যন্ত সাদামাটা ও ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে দলমত নির্বিশেষে ব্যাপক পরিচিত মুখ আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান।
বরাবরের মতো আমতলী উপজেলা কে একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলা, এলাকার ঘুনেধরা সমাজের আমূল পরিবর্তন সাধিত করা, এলাকার রাস্তা-ঘাট, কালভার্ট-ব্রিজ নির্মাণে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত করা এবং এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করাই তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মূল উদ্দেশ্য।
গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, এই মাটি আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, সময় এসেছে দেশ মাটি মানুষের কল্যাণে কিছু করে যাওয়ার। শুরু থেকেই এলাকার মানুষের পাশে থেকেছি। কাছে থেকে তাদের ব্যথা অনুভব করেছি। কারো বিপদে কখনো পাশ কাটিয়ে যাইনি। মানুষের জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করেছি সেটা মানুষ বিবেচনা করবে।