অনলাইন ডেস্ক : নাশকতার অভিযোগে ১১ বছর আগে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় করা এক মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যে দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
রবিবার দুপুরে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেয় ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন যুবদলের নেতা আজিজুল বারি হেলাল, সাইফুল ইসলাম নিরব, মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে বাবু, কাজী রেজাউল হক বাবু ওরফে জিম বাবু, খন্দকার এনামুল হক এনাম ও জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও জয়নাল আবেদীন মেসবাহ। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আবেদন জানান।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিবহন বিভাগের চালক মো. আয়নাল প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইস্কাটনের মিন্টো রোড থেকে ময়লা নিয়ে গাড়ি চালিয়ে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে যাচ্ছিলেন। কাকরাইল থেকে বিজয়নগরের দিকে এলে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে ২০০-২৫০ জন গাড়ি থামিয়ে হেলপারকে মারধর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। তারা গাড়িও ভাঙচুর করেন। এতে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই তিনি পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে মতিঝিল জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর মারা যান শফিউল বারী বাবু।