নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনে ১ পাউন্ড এখন বাংলাদেশি টাকায় ১৫২ টাকা। টাকার বিপরীতে পাউন্ডের উচ্চমূল্য অতীতের রেকর্ড সোমবার (৬ নভেম্বর) ছাড়িয়ে গেছে। এটি অব্যাহত আছে বুধবার ( ৮ নভেম্বর পর্যন্ত)। পাউন্ডের বিপরীতে টাকার দাম ১৫০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় অনেকে খুশি আবার অনেকে টাকার অবমূল্যায়নের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিতও। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেট অনুযায়ী, ৭ নভেম্বর ১ পাউন্ডে ১৩৬ টাকা হলেও বেসরকারি ব্যাংকগুলো ১৫২ টাকা করে রেট দিচ্ছে।
পাউন্ডের বিপরীতে টাকার মূল্য ১৫২/১৫৩ হওয়ায় অনেকে যেমন খুশি তেমনি অনেকে বলছেন টাকার অবমূল্যায়ন নিয়ে উদ্বেগের কথা। রফিক উল্লাহ নামের এক গ্রাহক বলেন, টাকার রেট বাড়ায় ভালো হয়েছে, দেশের গরীব মানুষেরা কিছু বাড়তি টাকা পাবে। তবে সুনা উল্লাহ নামে অপর একজন বলেন, টাকার রেট বেড়েছে আবার সরকার প্রণোদনা দিচ্ছে সবই ভালো খবর। কিন্তু আজকে ( ৮ নভেম্বর ) বাংলাদেশে আলুর দাম ১০০ টাকা কেজি! এভাবে যদি টাকার দাম মূল্যহীন হয় তাহলে এই টাকার দাম বেড়ে লাভ কী? আমরা যখন ১ পাউন্ডে ৩০ টাকা পেতাম তখন টাকার মূল্য অনেক ছিল।
এদিকে স্মল মানিট্রান্সফার কোম্পানিগুলো বলছে, পাউন্ডের বিপরীতে টাকার মান ১৫০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর হার বেড়েছে। ফয়সল আহমেদ নামে স্মল মানি ট্রান্সফারের মালিক বলেন, টাকার রেট বাড়ায় মানুষের মধ্যে টাকা পাঠানোর হার বেড়েছে।
ব্রিকলেনের আইএফআইসি এক্সচেঞ্জের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. মনোয়ার হোসাইন বলেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলো ডলার সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য ভর্তুকি দিয়ে বেশি টাকা দিচ্ছে রেমিটেন্স নেয়ার জন্য। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন সার্কুলার না। যেমন আজকে (৭ নভেম্বর) লন্ডন সোনালী পে’র রেট ১ পাউন্ডে ১৩৬ টাকা, এটিই হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অরিজিনাল রেট। এটি খুব বেশি দিন স্থায়ী হবে না।
এদিকে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডিরেক্টর মহিব চৌধুরী বলেন, সামনে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আরো খারাপ সময় আসবে। পাউন্ডের বিপরীতে টাকার দর বেশি হলে খুশি হওয়ার কিছু নেই, এটি উদ্বেগের খবর। রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের অর্থনীতি আরো খারাপ অবস্থা হবে।