আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে রাজনৈতিক সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স (আইএসকেপি)। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে রাজনৈতিক সমবেশে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে আইএস। বিবৃতিতে সশস্ত্র বাহিনীটির সংবাদমাধ্যম ‘আমাক’ বলেছে, ‘‘খাইবার পাখতুনখোয়ার খার শহরে ইসলামিক স্টেটের বোমাহনকারী এক ব্যক্তি জনসমাবেশের মাঝখানে গিয়ে আত্মঘাতী বোমাটির বিস্ফোরিত করেছে।’’
এদিকে বোমা হামলার ঘটনায় জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেছেন খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশ। জিও নিউজকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এখনো বাজাউরের বিস্ফোরণের তদন্ত করছি এবং তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এ হামলার সঙ্গে নিষিদ্ধ আইএস জড়িত।’
গত রোববার (৩০ জুলাই) পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাজাউর জেলায় জামিয়াত উলেমা ইসলাম–ফজল নামে একটি রাজনৈতিক দলের সম্মেলনে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ হয়। এতে ৫৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা শওকত আব্বাস জানান, এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৫৪-তে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ২৩ জনের বয়সই ১৮ বছরের নিচে অর্থাৎ শিশু।
বাজাউর জেলার জরুরি কর্মকর্তা সাদ খান বলেন, এ হামলায় দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা মাওলানা জিয়াউল্লাহ জান নিহত হয়েছেন।
দেশটির পুলিশ মহাপরিদর্শক আখতার হায়াত খান গণমাধ্যমকে বলেন, বোমা হামলায় ১০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে, আত্মঘাতী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস। এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মুখপাত্র জানান, নিহতদের পরিবাবের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে মহাসচিব। একইসঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি।