আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দাঙ্গায় জড়িত থাকার দায়ে ফ্রান্সে ৭০০ জনেরও বেশি মানুষকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার (১৯ জুলাই) দেশটির বিচারমন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন।
জুনের ২৭ তারিখ প্যারিসের পশ্চিমে ন্যান্টা এলাকায় গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ১৭ বছর বয়সী তরুণ নাহেল এমকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। সড়কে পুলিশের নির্দেশ অমান্য করায় ওই কিশোরকে গুলি করা হয়। এ ঘটনার পর ফ্রান্সজুড়ে মারাত্মক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। আর এই দাঙ্গার কয়েক সপ্তাহ পরই জড়িতদের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসের শেষের দিকে ফ্রান্সে দাঙ্গার কারণে ৭০০ জনেরও বেশি লোককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে দেশটির বিচারমন্ত্রী জানিয়েছেন। মোট ১ হাজার ২৭৮টি রায় দেওয়া হয়েছে।
এসব রায়ের মধ্যে ৯৫ শতাংশেরও বেশি আসামিকে ভাঙচুর থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে ছয় শতাধিক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফ্রান্সের বিচারমন্ত্রী এরিক ডুপন্ড-মোরেটি আরটিএল রেডিওকে বলেন, ‘দাঙ্গার পর অপরাধীদের দৃঢ় এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের জাতীয় শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাও ছিল অপরিহার্য।’
দাঙ্গার দায়ে গ্রেফতার হওয়া ৩ হাজার ৭০০ জনের গড় বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুরা পৃথকভাবে আদালতে হাজির হয়েছিল।
এর আগে ২০০৫ সালে শেষ বড় দাঙ্গার পর ফ্রান্সে প্রায় ৪০০ জনকে সাজা দেয়ার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।