বরগুনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল – রেফারি আতিক

 

মিথুন কর্মকার আমতলী বরগুনা প্রতিনিধি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন আসিফ মীর (আতিক)শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ অনুষ্ঠিত হয়।বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট বালকদের ইভেন্টের প্রধান  রেফারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার ২ নং কুকুয়া  ইউনিয়নের আসিফ মীর (আতিক)।আসিফ মীর (আতিক) এর সাথে কথা বলে জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই তার ফুটবলের প্রতি গভীর ভালোবাসা ছিল তিনি নিজেও ভালো ফুটবল খেলতেন। তিনি তার নিজ এলাকার ছেলেমেয়েদের ফুটবলের বিভিন্ন  নিয়ম-কানুন এবং শরীর চর্চা শিখাতেন। এ সময় তিনি অনেকের হাস্যরসের শিকার হয়েছেন। তিনি আমতলী উপজেলার বিভিন্ন ঘরোয়া লীগের সহকারি  রেফারি ও প্রধান রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখান থেকেই তিনি একজন ভালো মানের রেফারি হয়ে ওঠার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকেন। তার কঠিন পরিশ্রমই আজকের এই অর্জন বলে জানিয়েছেন তিনি।তার এলাকার লোকজন তথা বরগুনা জেলার অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার এই অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে এসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত খেলা উপভোগ করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য খেলার পাশাপাশি দেশীয় খেলাকেও সুযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এর মাধ্যমে কোমলমতিদের মেধা বিকাশের সুযোগ হবে। শুধু ফুটবল বলে নয়, আমাদের দেশীয় অনেক খেলা আছে এবং অন্যান্য খেলাও রয়েছে। তাতে আমাদের ক্ষুদে খেলোয়াড়রা যেন সুযোগ পেতে পারে। কারণ খেলাধুলার মধ্য দিয়েই আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও মেধা বিকাশের সুযোগ হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি যখনই সরকারে এসেছেন, তখনই চেষ্টা করেছেন ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি আরও বেশি অনুরাগী করে তুলতে। কেননা খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটায়, ডিসিপ্লিন শিখায়, আনুগত্য শিক্ষা দেয় এবং সেই সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এই খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি।বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনালে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩-১ গোলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।এর আগে, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২-১ গোলে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।প্রধানমন্ত্রী দুটি টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত খেলায় বিজয়ী এবং বিজিত উভয় দলের খেলোয়াড়দের মাঝে ট্রফি, প্রাইজমানির চেকের রেপ্লিকা এবং ব্যক্তিগত পুরস্কার প্রদান করেন।টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাহমুদা আক্তার সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে গোল্ডেন বুট এবং একই বিদ্যালয়ের রিশা আক্তার সেরা খেলোয়াড়ের গোল্ডেন বল লাভ করেন।বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের চ্যাম্পিয়ন জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মো. সাজ্জাদ হোসেন গোল্ডেন বুট এবং মো. আকাশ গোল্ডেন বল লাভ করেন।এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত খেলার প্রধান রেফারি ও সহকারী রেফারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।পুরস্কার বিতরণী পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বক্তৃতা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *