গ্রামের বাড়ি সরিষাবাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছি। সকালের নাস্তা হলো বাশি ভাত,পান্তা,কাঁচা মরিচ, পিঁয়াজ , আলু ভর্তা। প্রতিদিন এগুলো খেতে ভালো লাগে না।
আমাদের বাড়ির সামনে যমুনার শাখা ঝিনাই নদী।এক সময় খড়স্রোতা ছিল।এই নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেতো।গ্রামের মানুষ কখনোই বাজার থেকে মাছ কিনতো না।আমার দাদার সংসারে মরিচ, বেগুন, আলু,সরিষা, বিভিন্ন ধরনের তরকারি নিজেদের ক্ষেত থেকে আসতো।আর মাছ তো কথাই নাই। নদীতে বরশি, জাল দিয়ে মাছ ধরতো। তারপরও সপ্তাহে দুটি দিন হাট বসতো। আরামনগর বাজার।আর একটি বাজার ছিল সিমলা বাজার।বিখ্যাত দুটি বাজারে ।এ দুটি বাজারে প্রচুর জুট কল ছিল।গৃহস্তের উৎপাদিত পাট ক্রয় করে নারায়ণগঞ্জ আদমজি জুটমিলে পাঠানো হতো।গ্রামের মানুষ সপ্তাহে দুইদিন হাটে বাজার করতো।
প্রতিদিন সকালে ভাত দিবে কিন্তু মাছ দিবে না , এটা হয় না। আমি আম্মার সাথে রাগ করে চাচাতো ভাই এর একটি বরশি নিয়ে আটার গুল্লি বানিয়ে নদীর ঘাটে বরশি ফেলে বসে রইলাম।
যে জায়গায় বসে বরশি ফেললাম তার পিছনে প্রায় দেড়শত বছর আগের প্রাইমারি স্কুল।স্কুলের মাঠে শতশত বছর আগের একটি বটবৃক্ষ।এখন অবশ্য বটবৃক্ষটি নেই।
আমি নদীতে বরশি ফেলেছি পাঁচ মিনিট হয়নি।বরশিতে একটি সোলার পাতাকাটা থাকে।দেখি সেটা নেই।সজোরে সিপধরে টান দিতেই উঠে আসলো বিরাট বড় সরপুটি মাছ।আমি দৌড়ে বাড়ি চলে গেলাম।সবাই অবাক।আমি মাছ ধরতে পেরেছি বলে।
আম্মা সেই সরপুটি কুটে তৎক্ষণাৎ ভাজি করে দিল।আমি মনের আয়েশ মিটিয়ে সকালের নাস্তা করলাম।