এস এম সুমন: মিরপুর বিআরটি- তে গেলেই দেখে মিলে দালাল ও প্রতারক চক্রের। এদের ফাঁদে পড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ জনগণ। দালারচক্র ছাড়া কোন ভাবেই বিআরটিএর কাজ সম্পর্ন হয়না এমন অভিযোগ বহুদিনের। বহুদিনেরে এই ভোগান্তি দূর করতে আশা আলো নিয়ে এসেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদ্য আনসার কমান্ডার পিসি মোঃ আবুল হাশেম। তিনি অল্প সময়ের দায়িত্বকালীন সময়ে মিরপুর বিআরটিএ দালালমুক্ত করতে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) মিরপুর-১৩, মেট্রো সার্কেল-০১, অফিসে দালালদের দৌরাত্ব কমাতে ১০ (মার্চ) রবিবার এক বিশেষ সাঁড়াশি অভিযানে নামে মিরপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন পিসি মোঃ আবুল হাসেম এবং সহকারী পিসি মোঃ শহিদুল ইসলাম।
এসময় বিআরটিএ ও এর আশপাশ থেকে ১২ জন দালালকে হাতেনাতে ধরতে সক্ষম হয় আনসার সদস্যরা। পরে ভ্রাম্যমান আদালত ছয়(৬) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-মোঃ সাজিদ আনোয়ার দালালদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন।
মিরপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে যতগুলো অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে তার মধ্যে আজকের অভিযানটি উল্লেখযোগ্য বলে জানান পিসি মোঃ আবুল হাসেম। সকাল ৯ টা হইতে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল এই সাঁড়াশি অভিযান। এসময় মোট ১২ জন দালাল হাতেনাতে ধরা পড়ে। তাঁরা সবাই দালালি পেশায় যুক্ত বলে স্বীকার করেছে এবং তাদের মধ্যে ৯ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মোহাম্মদ আল আমিন, তানজিল চৌধুরী, মোহাম্মদ টিপু সুলতান, মোহাম্মদ রাসেল, মোহাম্মদ জামাল, বুলবুল আহমেদ, মোঃ বাদশা, মোঃ আরিফুল ইসলাম ও মনির হোসেন।
অভিযান প্রসঙ্গে পিসি মোঃ আবুল হাসেম বলেন, আমি গত তিন মাসে ৫০ জন দালালকে ধরতে পেরেছি এবং যতদিন মিরপুর বিআরটিএ তে দায়িত্ব পালন করবো ততদিন এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, আমি আমার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব সৎ ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছি এবং ভবিষ্যতেও করব।ইনশাআল্লাহ।