রাতে দফায় দফায় লোডশেডিং

নিউজ ডেস্ক: গভীর রাত পর্যন্ত গরমের তেজ থাকলেও দিনের চেয়ে রাতে বেড়েছে লোডশেডিং। বাসাবাড়ি থেকে কারখানা সবখানেই বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। বিদ্যুৎ ছাড়া যাদের জীবিকা চলে না তারা পড়েছেন বেশি দুর্ভোগে। তবে আগামী এক মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

মুগ্ধ লেডিস টেইলার্স। মালিক খোরশেদ আলম। দুই কর্মচারীসহ রাজধানীর নর্থ রোডে ব্যবসা তার। সামনে ঈদ, তাই কাজ পেয়েছেন ভালোই কিন্তু বিদ্যুতের যাওয়া আসায় জীবন ওষ্ঠাগত।

ছোট্ট দোকানে একদিকে গরমে টিকে থাকা দায়। তার ওপর বিদ্যুতের অভাবে সেলাই মেশিনও বন্ধ রাখতে বাধ্য হওয়ায় কাপড় ডেলিভারি দেয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
 
তিনি বলেন, ঈদের আশায় আমরা যে কাজ করি, এমন লোডশেডিং হতে থাকলে তো সেরকম কাজ নিতে পারবো না।
 
বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে কারখানা সবারই এক ও অভিন্ন সংকট। দিনের বেলাতেও যেন বাসা বাড়িতে ভুতুড়ে দশা। রাতে তো কথাই নেই।
 
ভুক্তভোগীরা বলছেন, রাতে ৩ থেকে ৪ বার লোডশেডিং হয়। বাসার কেউ ঘুমাতে পারছে না; কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। প্রেসারের রোগী ও হার্টের রোগীদের জন্য তো বড় অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে।  
 
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) হিসাব বলছে, দিনের চেয়ে রাতে বেড়েছে লোডশেডিং। চলতি মাসের শুরুর দুদিনের পরিসংখ্যান সেই তথ্যই জানাচ্ছে। কারণ রাতে যে পরিমাণ চাহিদা থাকে সেই পরিমাণ উৎপাদন হয়নি।
 
বৃষ্টি হয়ে গরম কমে এলে দিনে এবং রাতে কমবে চাহিদা। তাই আপাতত ভরসা প্রকৃতির ওপর। সেটি ছাড়াও চলতি মাসের শেষ দিকে আমদানিকৃত কয়লা এলে উৎপাদনের আসবে পায়রা। আর তখনই কেবল কমতে পারে লোডশেডিং।
 
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনের মতে, জুন মাসে যে হারে বৃষ্টি হওয়ার কথা সেটি হচ্ছে না। তাই রাতেও বেড়েছে বিদ্যুত চাহিদা।
 
তবে তিনি বলেন, পায়রার এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট যোগ হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। অন্তত এতটুকু আশ্বস্ত করতে পারি যে আগামী ১ মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *