নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের ৫ মাসের মাথায় ধসে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদার ও সড়ক জনপথ বিভাগের দুর্নীতির কারণে সঠিকভাবে সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় এই পরিস্থিতি।
নাটোর-নওগাঁ সড়কের নাটোর জেলার অংশে নলডাঙ্গা থেকে বীরকুৎটুশা পর্যন্ত এই সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয় ২৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। চলতি বছরের মে মাসে সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হয়। নির্মাণ কাজ শেষের ৫ মাসের মাথায় গত ৫ অক্টোবরের বৃষ্টিতে মাধনগর থেকে বীরকুৎটা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে ধসে যায় সড়ক। বীরকুৎটা এলাকায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাঁশ দিয়ে রাস্তা অর্ধেক বন্ধ করে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পাশ থেকে মাটি তুলে রাস্তায় দেয়ার ফলে বৃষ্টিতে ভাঙা স্থানে মাটি ধসে গেছে। ৬ অক্টোবর থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মীর হাবিবুল আলমের কর্মচারীরা ভেঙে পড়া সড়ক মেরামত শুরু করেছে। এই বিষয়ে মীর হাবিবুল আলম বখতিয়ার বলেন, বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতি হয়েছে। তবে তিনি এই সংবাদ প্রচার না করতে বলেন।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে সময় সংবাদকে এড়িয়ে গিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান। ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে তিনি কথা বলেননি।
নাটোর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতি কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের ব্যয় প্রায় ৫ কোটি টাকা। এত টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হওয়া সড়ক ৫ মাসের মাথায় ধসে পড়ায় নির্মাণ কাজ সঠিকভাবে হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। সড়কের এই ক্ষতির জন্য কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও অসৎ উদ্দেশ্য আছে কি না তার তদন্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন তিনি।
এই সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল চুক্তিবদ্ধ হয় নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মীর হাবিবুল আলম। ৫ বছরেও নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় চলতি বছরের ২ মার্চ এই সড়ক পরিদর্শন করে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী ঠিকাদারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সচিবের তদারকিতে চলতি বছরের মে মাসে সড়ক নির্মাণ শেষ করেন ঠিকাদার।