নিজস্ব প্রতিনিধি: সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভোটারদের উপস্থিতি। তবে ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের ভিড় বেশি দেখা গেছে।
বুধবার (২১ জুন) দুপুরে সরেজমিন এ দৃশ্য দেখা যায় গোটাটিকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও।
সকাল ৮টা থেকেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলছে সিসিক নির্বাচনে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে বেশির ভাগ কেন্দ্রেই নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি ছিল।
গোটাটিকর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসা ভোটার শরিফা খাতুন বলেন, ‘খুব শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছি। ইভিএমে বুঝতে একটু সময় লাগছিল। পরে ঠিকভাবে ভোট দিতে পেরেছি। খুব ভালো লাগছে।’
কথা হয় রূপা রানী দাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগেও অনেকবার ভোট দিছি। কিন্তু এই নতুন পদ্ধতিতে (ইভিএম) প্রথম ভোট দিলাম। কত আপডেট হইছে সবকিছু। এসব মেশিন-টেশিন দেখে ভালো লাগছে খুব।’
জিন্দাবাজার থেকে ভোট দিতে কেন্দ্রে এসেছিলেন সামিনা হক। তিনি বলেন, ‘ভোট আমার নাগরিক অধিকার। নগরের উন্নয়নে জনগণের নিজ প্রার্থীকে ভোট দেয়া উচিত। তাই আমি ভোটকেন্দ্রে নিজের ভোট নিজে দিয়েছি।’
ভোটের বিষয়ে সিলেট নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের বলেন, সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। বৃষ্টির যে শঙ্কা ছিল, তা আর নেই।
এবার বর্ধিত এলাকাসহ মোট ৪২টি ওয়ার্ড নিয়ে সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন।
সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৮ জন। তারা হলেন: আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), স্বতন্ত্র মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), স্বতন্ত্র মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস) এবং স্বতন্ত্র মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)।
তবে নির্বাচন বয়কট করে মাঠ ছেড়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এ ছাড়া নির্বাচনের শুরু থেকেই বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা ভোট বর্জন করেছে।