আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রুশ এলাকা বেলেগরদের গ্রামাঞ্চলে ঢুকে পড়া ‘সশস্ত্র ইউক্রেনীয় অনুপ্রবেশকারীদের’ তাড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে মস্কো। জানিয়েছে, হামলাকারীদের ধ্বংস করতে সীমান্ত এলাকায় গোলন্দাজ এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম দ্য মস্কো টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর রাশিয়ার ভূখণ্ডে এটিই বড় ধরনের হামলা। এর আগে, এমন কোনো হামলার মুখোমুখি হয়নি দেশটি। এ বিষয়ে ক্রেমলিন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সীমান্ত অঞ্চল থেকে সেখানকার অধিবাসীদের সরিয়ে নিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সীমান্ত এলাকায় গোলন্দাজ এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করেছে। এ বিষয়ে রাশিয়ার সশস্ত্রবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলোর সদস্যদের ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে এবং বিমান ও গোলা হামলায় তাদের ধ্বংস করা হয়েছে।’
রাশিয়ার সশস্ত্রবাহিনী বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘অবশিষ্টদের আবারও ইউক্রেনের সীমানায় তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তারা হামলা চালাতে থাকে। কিন্তু এরপর আবারও অভিযান চালিয়ে তাদের উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।’
রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেলেগরদ অঞ্চলে ইউক্রেনীয় অনুপ্রবেশকারীদের হামলায় ১২ জন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি ৭০ জনেরও বেশি ইউক্রেনীয় যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলেও দাবি করেছে। এ ছাড়া ৪টি সাঁজোয়া যানও ধ্বংস করা হয়েছে।
এদিকে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেন থেকে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশের ব্যাপারে রাশিয়াকে সতর্ক থাকতে হবে। এ সময় তিনি সবাই সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের আরও প্রচেষ্টা দরকার যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটতে পারে।