নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে কাঁচা মরিচের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করায় ভারত থেকে মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ৩০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ দেশে এসে পৌঁছেছে।
রোববার (২ জুলাই) বিকেলে ঊষা ট্রেডিং ও উৎস এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৪টি ট্রাকে করে এ মরিচ আমদানি করে। বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস হয়ে এগুলো ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে।
তবে আমদানি করা এ মরিচ যাতে সিন্ডিকেটের হাতে না যায়, সেদিকে নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ক্রেতারা।
আমদানিকারকরা জানান, প্রতি কেজিতে সরকারকে ৩৯ টাকা আমদানি শুল্ক দিয়ে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত আমদানি খরচ পড়ছে কেজিতে ১১০ টাকা। তবে শুল্ক কমলে আরও কম দামে কাঁচা মরিচ সরবরাহ করা যাবে।
তারা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে নিচু জমি ডুবে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের সঙ্কট দেখা দেয়। আর এ সময় কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজারে মরিচের দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে করে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা থেকে বেড়ে হাজার টাকায় ওঠে যায়। এতে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ পড়ে বেশি বিপাকে। কাঁচা মরিচের লাগামহীন এ বাজার নিয়ন্ত্রণে অবশেষে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করে সরকার।
এতে এরই মধ্যে রোববার (২ জুলাই) ভারত থেকে ৩০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ দেশে আসে। আমদানির খবরে এক দিনেই বন্দর এলাকায় খোলা বাজারে কেজি ৮০০ টাকা থেকে কমে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হয় বলে জানান আমদানিকারকরা।
আরিফ নামে এক ক্রেতা সময় সংবাদকে জানান, বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমে যাবে। তবে আমদানি করা কাঁচা মরিচ যাতে সিন্ডিকেটের হাতে না যায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
কাঁচা মরিচ আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, বন্দর থেকে খালাসের পরপরই দেশের অভ্যন্তরে দ্রুত মরিচ সরবরাহ শুরু হয়েছে। আমদানি করা এ মরিচ রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে।
বেনাপোল উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী পরিচালক হেমন্ত কুমার সরকার জানান, কাঁচা মরিচের মান পরীক্ষা শেষে খাওয়ার উপযোগী হওয়ায় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেয়া হয়েছে।