আন্তর্জাতিক ডেস্ক:হন্ডুরাসের রাজধানী তেগুসিগালপার উত্তর-পশ্চিমে একটি নারী কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গায় অন্তত ৪১ জন মারা গেছেন। কারা কর্তৃপক্ষের বরাতে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২০ জুন) স্থানীয় সময় ভোরে তেগুসিগালপা থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ৯০০ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সেন্ট্রো ফেমেনিনো ডি অ্যাডাপটাসিয়ন সোশ্যাল (সিইএফএসি) কারাগারে কয়েদিদের দুটি গ্রুপের মধ্যে দাঙ্গায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কারাগারের মুখপাত্র ইউরি মোরা রয়টার্সকে বলেন, ২৫ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে এবং ১৪ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কয়েদিদের পরিবারকে সহায়তাকারী একটি সংগঠনের সভাপতি ডেলমা অর্ডোনেজ বলেন, মঙ্গলবার ভোরে ‘গ্যাং ব্যারিও ১৮’ ও ‘মারা সালভাত্রুচা’ গ্রুপের মধ্যে এ দাঙ্গার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, কারাগার থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে।
ঘটনার পর কয়েদিদের স্বজনরা প্রিয়জনের খোঁজখবর নিতে কারাগারের বাইরে উপস্থিত হন। লিগিয়া রদ্রিগেজ নামে এক নারী বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে ভেতরে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে কিছুই জানিনা। কারা কর্তৃপক্ষ এখনও আমাদের কিছুই জানায়নি।
হাসপাতালের একজন মুখপাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, সাতজনকে একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির উপনিরাপত্তা মন্ত্রী জুলিসা ভিলানুয়েভা কারাগারে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, শিগগিরই এ ঘটনার তদন্ত শুরু হবে।
হন্ডুরাসের কারাগারে কয়েদিদের মধ্যে প্রায়ই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালে এরকম একটি দাঙ্গায় ১৮ জন এবং ২০১২ সালে আরেকটি দাঙ্গার ঘটনায় ৩৫০ জনের বেশি মানুষ মারা যান।