আন্তর্জাতিক ডেস্ক:রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে ভাড়াটে গ্রুপ ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। এখন রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ওয়াগনার যোদ্ধারা। রাশিয়ার এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (২৩ জুন) এক মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এই বিষয় অবহিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাডাম হজ বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং মিত্র ও অংশীদারদের সাথে এই অগ্রগতির বিষয়ে পরামর্শ করব।’
রুশ সামরিক নেতাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে গত মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনের বাখমুত শহর থেকে যোদ্ধাদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। এরপর থেকেই রুশ নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বাক্যবাণ ছুড়তে থাকেন তিনি।
শুক্রবার (২৩ জুন) অনেকটা আকস্মিকভাবেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন প্রিগোজিন। এরপরই রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে ওয়াগনার যোদ্ধারা। তারা এরই মধ্যে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রোস্তভ-অন ডনে একটি সামরিক দফতরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি বলছে, শনিবার (২৪ জুন) সকালে প্রকাশিত একটি ক্লিপে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন সৈন্যের সঙ্গে একটি চৌরাস্তায় দুটি ট্যাংক দাঁড়িয়ে আছে। দূর থেকে একটি সামরিক ট্রাক ও সাঁজোয়া যুদ্ধযান দেখা যায়। ভিডিওটি রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক জেলার সদর দফতরের কাছে ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে ওয়াগনার গ্রুপ রাজধানী মস্কোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিবিসির প্রতিবেদন মতে, ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কিছু ওয়াগনার সেনা ভোরেনেজ এলাকা দিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটা নিশ্চিতভাবেই মস্কোতে যাওয়ার রাস্তা।
ভোরেনেজ এলাকা রাজধানী মস্কো ও রোস্তভ-অন-ডনের মাঝখানে অবস্থিত। এ রাশিয়ান শহরটি এখন ওয়াগনারের ভাড়াটে যোদ্ধারা দখল করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া তারা রোস্তভ-অন-ডনের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো দখল করেছে।
যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, ওই বিদ্রোহ এখন রুশদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এ বিদ্রোহ মূলত একটি ‘সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ’। ওয়াগনার গ্রুপ দু’টি স্থান দিয়ে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় প্রবেশ করেছে।
ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান রুশ সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে এবং দেশটির দক্ষিণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সদর দফতর দখলের পর রাশিয়া তার মস্কো অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদার করেছে।