বছরের প্রথম সুপারমুন দেখল বিশ্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বছরের প্রথম সুপারমুনের সাক্ষী হয়েছে বিশ্ববাসী। গ্রিসের ঐতিহাসিক পার্থানন মন্দিরের ওপর দিয়ে উঁকি দিয়েছে এটি। সোমবার (৩ জুলাই) রাতে গ্রিসসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এ সুপারমুন দেখা গেছে।আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানা যায়।

বাংলাদেশ সময় রাত ১২ টার পর উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সুপারমুন দেখা গেছে। রাত ১২টা ৩৯ মিনিটে  আকাশে এটি তার পূর্ণ প্রভা ছড়ায়।
 
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) জানিয়েছে, চাঁদ পৃথিবীর দিকে ২১ হাজার কিলোমিটার এগিয়ে আসায় আগামী তিন দিন এর আলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকবে। সুপারমুন সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে প্রায় ৭ শতাংশ বড় হয়।    
নাসা আরও জানিয়েছে, চলতি বছর মোট চারটি সুপারমুনের সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী। এরপর সুপারমুন দেখা যাবে আগামী পহেলা আগস্ট, ৩০ আগস্ট ও ২৯ সেপ্টম্বর।
 
জুলাইয়ের এ সুপারমুন বাক মুন হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন দেশে পূর্ণিমার চাঁদের নামকরণের ঐতিহ্য রয়েছে। বাক মুন নামটি এসেছে নেটিভ আমেরিকানদের কাছ থেকে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, উত্তর আমেরিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে এ চাঁদের নামকরণ করা হয় বিশেষ প্রজাতির পুরুষ হরিণের নামে। সাধারণত জুলাই মাসে এ হরিণের সিং গজায় বলে এর নাম বাক মুন রাখা হয়েছে। আবার অনেক জায়গায় একে বলা হয় থান্ডার মুন, হট মুন বা সালমন মুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *