কৈশোরে শিশুদের খাবার নিয়ে যত ভাবনা

লাইফস্টাইল ডেস্ক:আমেরিকার গবেষণা বলছে, কৈশোরে ছেলে ও মেয়ে শিশুদের খাবারের চাহিদায় এক বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এ সময় বাড়ন্ত শিশুরা খাবার নিয়ে ভাবতে থাকে নানা পরিকল্পনা।

গবেষণায় আমেরিকান গবেষকরা আমেরিকার ২০০০ পরিবারের শিশুদের মধ্যে গবেষণা করেন। ওই গবেষণায় গবেষকরা শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখেন যে, এ সময় বাড়ন্ত ছেলে মেয়েদের বেশি খিদে পায়। যে কারণে তারা সারাক্ষণই খাবারের চিন্তা করে।

বেশিভাগদের মধ্যেই লক্ষ্য করা গেছে, তারা সকালে খাওয়ার পর দুপুরে কীভাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করে। তাদের এমন দুশ্চিন্তা কিংবা খাবার নিয়ে ভাবনাকে সংখ্যায় রূপ দিয়ে গবেষকরা দেখেন, খাবারের চিন্তা নিয়ে বছরে ১৩৫ ঘন্টা সময় ব্যয় করে বয়ঃসন্ধিকালের শিশুরা।

গবেষকরা আরও লক্ষ্য করেন, মাসে এসব বাড়ন্ত শিশুরা ৪ বার তাদের কাবার নিয়ে হতাশ বা অসন্তোষ প্রকাশ করে। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সের বাড়ন্ত শিশুরা এ সময় জাঙ্ক ফুড বা বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য বেশি পাগল হয়ে ওঠে।

এই সময় তাই পরিবারের বাবা মার করণীয় কী? যেহেতু এসময় শিশুদের শারীরিক গ্রোথ দ্রুত হতে শুরু করে তাই তাদের খাবারের চাহিদা বেশি থাকে এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা।

এসব শিশুদের খাবারে পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্যের বিকল্প নেই। প্রতিদিনের ডায়েটে তাই প্রাধান্য দিতে পারেন সবুজ শাকসবজি বিশেষ করে কচু ও কচুশাক, মাংস, কলিজা, ডিম ও সামুদ্রিক মাছকে।

নানা ধরনের ফলের মধ্যে বেশি প্রাধান্য দিতে পারেন বেদানা, আনার, খেজুর, সফেদা, কিশমিশকে। সঙ্গে রাখুন আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারও। মজবুত হাড় গঠনের জন্য এসময় খেতে দিতে পারেন দুধ, দুগ্ধজাত খাবার যেমন: দই, পনির, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ, মাংস ইত্যাদি।

সুস্বাস্থ্যের জন্য এসব খাবারের সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুম ও পর্যাপ্ত পানি পান করা। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখুন এসব শিশুদের উচ্চ মাত্রায় লবণ ও চিনি যুক্ত খাবার থেকে বিরত রাখার।

সূত্র: ফক্স নিউজ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *