অপমানিত হয়ে কেঁদেছিলেন, এমনকি বলিউড ছাড়তে চেয়েছিলেন শাবানা

বিনোদন ডেস্ক: বলি পাড়ার বিখ্যাত অভিনেত্রী শাবানা আজমিকে সম্প্রতি ‘রকি অর রানি কি প্রেম কাহানি’-তে দেখা গেছে। এতে তার অভিনয় দেখে সকলেই করেছেন প্রশংসা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘পরওয়ারিশ’ ছবির শুটিং সেটে কীভাবে অপমানের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। এমনকি সেই সময় বলিউড ছেড়ে দেয়ার কথা ভেবেছিলেন।

অভিনেত্রী আরও জানিয়েছেন, ছবির সেটে কোরিওগ্রাফারের হাতে প্রকাশ্যে অপমানিত হয়েছিলেন তিনি। যার ফলে অল্প বয়সেই ক্যারিয়ারে ইতি টানতে চেয়েছিলেন। ছবির পরিচালক মনমোহন দেশাই এই ঘটনার জন্য আজমির কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। সেটেই নাকি কাঁদতে শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। শুটিংয়ের পোশাক পরেই খালি পায়ে সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। সেদিনের সেই অপমানের কথা তিনি স্মরণ করেছেন।

শাবানা আজমি জানান, তিনি প্রাণ বাঁচাতে নাচতে পারেন না। তার বাম পায়ে আঘাত ছিল। আমি বলেছেন, তাকে রিহার্সাল দিতে। কিন্তু তাকে বলা হয় রিহার্সালের দরকার নেই। তাকে শুধু হাততালি দিতে হবে। তিনি রাজি হলেন। কিন্তু যখন সেটে গেলেন, তখন এটি ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ নাচের নম্বর। শাবানা নীতু সিং এর সঙ্গে ছিলেন বলে এটা খুবই ভয়ের ছিল। তার ডান পা রাখা উচিত নাকি বাম পা রাখা উচিত তা বোঝার আগেই নীতু দুটি রিহার্সাল করে সেখানে বসে থাকতেন’। নার্ভাসনেস থেকে, অভিনেত্রী তখন কোরিওগ্রাফারকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি কয়েক ধাপ পরিবর্তন করতে পারেন কিনা। সেটে অনেক জুনিয়র শিল্পী ছিলেন।

যেটা ঘটেছিল তা অভিনেত্রী আশা করেননি। তিনি স্মরণ করে বলেন, ‘আচ্ছা, লাইট অফ। এখন শাবানা জি কমল ড্যান্স মাস্টারকে নাচের স্টেপ শেখাবেন। এটা এতই অপমানজনক এবং খারাপ লেগেছিল যে আমি সেট থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম। আমি একটি জঘন্য পোশাক পরেছিলাম, কিন্তু তাও বাইরে বেরিয়ে দেখি আমার গাড়ি নেই, তাই সেই পোশাক পরে আমি খালি পায়ে জুহুতে আমার বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করি, কাঁদতে কাঁদতে বলি, ‘আমি আর কোনও হিন্দি ছবিতে কাজ করব না। আমি অপমানিত হতে চাই না’। এই ঘটনায় পরে অবশ্য পরিচালক মনমোহন দেশাই অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘পরওয়ারিশ’। ছবিতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, নীতু সিং, শাম্মি কাপুর এবং বিনোদ খান্না। ছবি পরিচালনা করেছেন মনমোহন দেশাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *