ল্যাবে তৈরি মাংস: চাহিদা মেটাবে কতটুকু?

বাণিজ্য ডেস্ক: মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে চীন সরকার। এরমধ্যেই সাংহাইতে ল্যাবে মাংস উৎপাদনের কারখানা চালু করেছে দেশটির স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সেলএক্স।

সাংহাইতে চীনের প্রথম চাষ করা মাংসের কারখানা চালু করেছে সেলএক্স। প্ল্যান্টে স্থাপিত ২ হাজার লিটারের একটি বায়োরিয়্যাক্টর দিয়ে প্রতি বছর ‘সিঙ্গেল ডিজিট টন’ মাংস উৎপাদন করা সম্ভব। উৎপাদন বাড়াতে শিগগিরই আরও বায়োরিয়্যাক্টর স্থাপন করা হবে।
সেলএক্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জিলিয়াং ইয়াং বলেন, বড় পরিসরে উৎপাদনে যাওয়ার আগে ল্যাবে উৎপাদিত মাংস সীমিত পরিসরে বাজারে ছাড়া হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে বাণিজ্যিক উৎপাদন করা হবে। যা থেকে প্রতি বছর শত শত টন মাংস উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
 
এছাড়া পাইলট সুবিধা সেলএক্সের উৎপাদন খরচ প্রতি পাউন্ডে ১০০ ডলারের নিচে নিয়ে আসবে। পাশাপাশি এটি বাজারে প্রচলিত ‘প্রিমিয়াম মিটের’ জন্য প্রতিযোগিতামূলক হবে। আর ২০২৫ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদনে গেলে উৎপাদন খরচ আরও কমে আসবে।
 
চীন দেশের জনসংখ্যার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আমাদানির ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য প্রাণীজ প্রোটিনের টেকসই ‍উৎস খুঁজছে। গত বছর জৈব-অর্থনীতির ১৪তম পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বেইজিং খাদ্য উৎস হিসেবে ল্যাবে তৈরি মাংসসহ সিনথেটিক প্রোটিনের বিকাশকে সমর্থন করেছে। এ পরিস্থিতিতে ল্যাবে উৎপাদিত মাংস কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
 
ইউএসডিএর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭০ এর দশক থেকে চীনে মাংসের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পরবর্তী দশকগুলোতে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।
 
উল্লেখ্য, চাষকৃত মাংস সরাসরি পশুর কোষ চাষ করে উৎপাদন করা হয়। এর মাধ্যমে মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রাণী লালন-পালনের প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে।
 
২০২০ সালর ডিসেম্বরে প্রথম দেশ হিসেবে ল্যাবে তৈরি মাংস বিক্রির অনুমতি দেয় সিঙ্গাপুর। এরপর একই পথে হাটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *