অনলাইন ডেস্ক: বুধবার প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছেন রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করা হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্লেনটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচয় গোপন রাখার শর্তে কিছু সূত্র রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে- তাদের বিশ্বাস প্লেনটি এক বা একাধিক সারফেস টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে রয়টার্স এ তথ্যের সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।
রয়টার্স আরও জানায়, এমব্রায়ের (ইএমবিআর৩.এসএ) লিগাসে এক্সিকিউটিভ জেট প্লেনে করে মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে যাচ্ছিলেন প্রিগোজিনসহ মোট ১০ আরোহী।
রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্লেনটি বিধ্বস্ত হওয়ার ৩০ সেকেন্ড আগেও এতে কোনও ধরনের সমস্যা ছিল না। হঠাৎ করেই প্লেনটি খাড়াখাড়িভাবে মাটিতে আছড়ে পড়ে।
রাশিয়ার বিমান চলাচল সংস্থা রোসাভিয়াৎসিয়া দুর্ঘটনার পরপরই জানায়, বিধ্বস্ত বিমানে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন ছিলেন। মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাওয়ার সময় মস্কোর তাভের অঞ্চলের কুজেনকিনো গ্রামে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানায় রুশ জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়।
প্লেনটি হঠাৎ করেই মাটিতে আছড়ে পড়ার ব্যাপারে ফ্লাইটরাডার২৪ এর ইয়ান পেটচিনিক বলেছেন, “গ্রিনিচ মান সময় দুপুর ৩টা ১৯ মিনিটে প্লেনটি বিধ্বস্তের ৩০ সেকেন্ড আগে ‘হঠাৎ খাড়াখাড়িভাবে’ নিচু হয়ে যায়। এটি ২৮ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ৮ হাজার ফুট খাড়াভাবে নামে। যা হয়েছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “প্লেনটিতে কি হয়েছে এখন এ নিয়ে হয়তো তাদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। কিন্তু হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ার আগে, প্লেনটিতে কোনও ধরনের গোলযোগের আলামত ছিল না।”
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্লেনটির খুব দ্রুত গতিতে নিচে নেমে আসছে এবং এটির নাক প্রায় সোজা বরাবর নিচের দিকে ছিল। এছাড়া প্লেনটির পেছনের দিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে রাশিয়া।
ব্রাজিলিয়ান প্লেন উৎপাদনকারী এমব্রায়ার জানিয়েছে, যে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা কোনও সার্ভিস করেনি। প্লেনটি একসঙ্গে ১৩ জন যাত্রী ধারণ করতে পারতো।
সূত্র: রয়টার্স