অনলাইন ডেস্ক : শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। গতি নিয়ন্ত্রণে এতে নতুন করে স্পিড লিমিট নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলার কথা থাকলেও আংশিক এ পথে সর্বোচ্চ গতি হবে ৬০ কিলোমিটার। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেয়াল রাখতে হবে ওঠানামার র্যমগুলোর দিকে। গতির পাশাপাশি শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেও ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ তাদের। বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট–এই ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে স্বাভাবিকভাবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগত। কোনো কোনো সময় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টাও লেগে যায়। তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে এ সময় লাগবে ১২ থেকে ১৫ মিনিট।
বিমানবন্দর থেকে এখন সরাসরি চলে আসা যাবে ফার্মগেট। সে ক্ষেত্রে বাধাহীন এ পথটার এ গতি যেকোনো র্যামের পথ ধরলেই নেমে আসবে চিরচেনা ঢাকার তালে। তাই নামার ক্ষেত্রে প্রতিটি র্যামে বাড়তি গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, র্যাম আর নিচের সড়কের সংযোগটা করতে হবে নির্বিঘ্ন আর নিয়ন্ত্রিত।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বলছেন, ওভারস্পিড মনিটরিং করা খুব প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রতিটি র্যামে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে, না হলে যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাথায় রাখতে হবে যেসব গাড়ি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে না, তারাও যখন ওই র্যাম্পের মুখে জড়ো হবে, তখন যানজট তৈরি হতে পারে।
সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, ওপর আর নিচের গতিতে সমন্বয় রাখতেই ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলার কথা থাকলেও আংশিক এ পথে তা বেঁধে দেয়া হয়েছে ৬০ কিলোমিটারে। র্যামগুলোতে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সমন্বয় করা হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে।
সেতুসচিব বলেন, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। কেউ যদি মনে করে থাকে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালিয়ে এ পথ পার হয়ে যাবে, তা হবে না। ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে কোনো গাড়ি এখানে চলতে পারবে না। তবে এ পথের শতভাগ সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে এর শেষ প্রান্ত অর্থাৎ কুতুবখালী পর্যন্ত চালু হওয়া অবধি।