শেওড়াপাড়ায় আবাসিক হোটেল রাজধানী পরিণত হয়েছে মাদক আড্ডাখানায়

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সজিব মিয়া
রাজধানীর শেওড়াপাড়ার আবাসিক হোটেল রাজধানী বর্তমানে মাদক ব্যবসা, অবৈধ কার্যক্রম ও অপরাধীদের আড্ডাখানায় রূপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে এ হোটেলটিকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো হলেও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

মাদকের আস্তানা, অশ্লীলতার আখড়া

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হোটেল রাজধানীতে প্রতিদিন অবাধে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের যাতায়াত চলছে। শুধু তাই নয়, উঠতি বয়সী ইস্কুল কলেজ গামী ছেলে-মেয়েরাও রুম ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ সময় অবস্থান করছে, যা সমাজে অশ্লীলতা ও নৈতিক অবক্ষয় বাড়িয়ে তুলছে। এলাকাবাসী বলছেন, হোটেলটি এখন মাদকের পাশাপাশি অশালীন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

আতঙ্কে এলাকাবাসী

অভিযোগ রয়েছে, হোটেল রাজধানীতে মাদকসেবীদের প্রায়শই হইচই ও অশান্ত আচরণের কারণে স্থানীয়রা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। রাতের বেলায় অপরিচিত লোকজনের আসা-যাওয়া বেড়ে যাওয়ায় চুরি, ছিনতাইসহ ছোটখাটো অপরাধের ঘটনাও ঘটছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে।

প্রশাসনের নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার অভিযোগ দেওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো বড় ধরনের কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বা নজরদারিও নেই। এতে হোটেল কর্তৃপক্ষ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

একজন ক্ষুব্ধ স্থানীয় নাগরিক বলেন,
“আমরা বছরের পর বছর ধরে এই ভোগান্তির শিকার। হোটেল রাজধানী এখন পুরো এলাকাকে কলুষিত করছে। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমাদের সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে।”

হোটেল রাজধানী বন্ধের দাবি

সামাজিক সংগঠন, নাগরিক সমাজ ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একযোগে দাবি উঠেছে— অবিলম্বে হোটেল রাজধানী বন্ধ করতে হবে এবং মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তারা প্রশাসনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, “যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামবে। এই ব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মী জানতে চাইলে হোটেলের মালিক মোশারেফ ও অভি / নাধিম.

গণমাধ্যম কর্মীকে হুমকি প্রদান করে বলেন পুলিশ প্রশাসন ম্যানেজ করে হোটেল কার্যক্রম চালাই।

নিউজটি আপনার স্যোসাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *