মুলাদিতে ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মান বিএনপি নেতার: সংঘর্ষ ও প্রাণহানির আশংকা

 


স্টাফ রিপোর্টার: বরিশালের মুলাদীতে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মালিকানা সম্পত্তির উপর দিয়ে সরকারী রাস্তা নির্মান ও গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষ ও প্রাণহানির আশংকায় শংকিত এলাকাবাসী।

জানা গেছে, মুলাদী উপজেলার পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের মোসলে উদ্দীনের ওয়ারিশ প্রতিনিধি হিসাবে চঞ্চল চৌধুরী দীর্ঘদিন যাবৎ ১৪ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছেন। ওই সম্পত্তিতে চঞ্চল চৌধুরী স্থাপনা নির্মানসহ চারপাশে বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ রোপন করেছেন। বিগত শেখ হাসিনা সরকার দেশ ত্যাগের পর চলতি বছরের ৫ মে পূর্ব হোসনাবাদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবিদুর রহমান হুমায়ুনের নেতৃত্বে ওই সম্পত্তির উপর দন্ডায়মান গাছগুলো জোড়পূর্বক কেটে সরকারী রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে।

এর আগে চঞ্চল চৌধুরীর ভোগ দখলীয় ওই সম্পত্তি পূর্ব হোসনাবাদ ডিগ্রী কলেজের জমি দাবি করে বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান হুমায়ুন ২০১৯ সালের ২১ জুলাই নাসরিন রহমান নামের এক নারীকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে বরিশাল বিজ্ঞ ম্যাজিট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করান। এছাড়াও বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে চঞ্চল চৌধুরীকে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করে আসছে। মামলার প্রেক্ষিতে গাছুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস সরেজমিনে তদন্ত করেন এবং তদন্তকালে বাদী নাসরিন রহমান সম্পত্তির মালিকানার কোনো কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পারায় মোছলে উদ্দীনের ওয়ারিশদের প্রতিনিধি হিসেবে চঞ্চল চৌধুরীর ভোগ দখল বিদ্যমান রাখে। সেই সাথে বাদীর জমি দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চঞ্চল চৌধুরীর সম্পত্তির অদূরে চলাচলের জন্য সরকার নির্মিত ৫০ ফিট পাকা রাস্তা থাকার পরও তার ভোগ দখলীকৃত জমির উপর দিয়ে নতুন করে রাস্তা নির্মান কেনো করা হচ্ছে সেটা বোধগম্য নয়। এটা নিঃসন্দেহে রহস্যজনক ও ষড়যন্ত্রের অংশ।

ভুক্তভোগী চঞ্চল চৌধুরী বলেন, সম্পত্তি থেকে আমাকে উৎখাতের জন্য বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান হুমায়ুন বহু হুমকি ধুমকি দিয়েছেন এবং এখনো দিচ্ছেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মুলাদী থানায় সাধারণ ডাইরীও করেছি। বর্তমানে ওই অধক্ষের দূর্নীতি, নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ বাণিজ্য এবং ক্ষমতার অপব্যবহার “টক অব দ্যা” মুলাদীতে পরিণত হয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি তার বিরুদ্ধে ব্যপক দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত ও সত্যতা পেয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পূর্ব হোসনাবাদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবিদুর রহমান হুমায়ুনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

নিউজটি আপনার স্যোসাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *