জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্য ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি কি প্রতীক্ষা মানুষের।স্বাধীন বাংলাদেশের বাঙালিদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পাচ্ছিল না বঙ্গবন্ধু ছাড়া।কি আশ্চর্য, তেজগাঁও বিমান বন্দরে বঙ্গবন্ধু জনাকীর্ণ মানুষের কাছে এসে ধানমন্ডির বত্রিশ নাম্বারে না গিয়ে , নিজের স্ত্রী , ছেলে মেয়েদের কাছে না গিয়ে তিনি চলে গেলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।যেখানে লক্ষ লক্ষ বাঙালি অপেক্ষা করছে বাঙালির জোতির্ময় অবিসংবাদিত নেতার জন্য।
এই ছিলেন বঙ্গবন্ধু।যিনি ২৩ বছর পশ্চিম পাকিস্তানের শাসন শোষনের বেড়াজাল ভেঙ্গে নতুন সূর্য বাঙালির হাতে এনে দিয়েছিলেন।আমরা পেয়েছিলাম লাল সবুজের পতাকা।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি আমরা গ্রামের বাড়ি সরিষাবাড়ীতে ছিলাম।সাতপোয়া স্কুলের সেকেন্ড হেড মাষ্টার মুজিবর স্যার আমাদের ঘর থেকে কমলা রঙের টেনজিষ্টার বাহির বাড়ির উঠানে একটি টুলের উপর রেখে চালু করলেন।প্রায় শত খানেক নারী,পুরুষ, শিশু কিশোর বসেছিল টেনজিষ্টার ঘিরে। তখন গ্রামে টেলিভিশন ছিল না এমনকি রেডিও ছিল না।
সেদিন আমার শিশু মনে কি উৎকন্ঠা। বঙ্গবন্ধুকে দেখার। এই মহা পুরুষ কে একবারই দেখেছিলাম।১৯৭৩ সালে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস ময়দানে।
এই জোতির্ময় পুরুষের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
লায়ন হামিদুল আলম সখা
সদস্য
বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটি
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও
সহ সভাপতি,ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ ।