কিয়েভে সেনা পাঠানোর ইঙ্গিতে ফ্রান্স-রাশিয়া উত্তেজনা

অনলাইন ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধে সেনা পাঠানো ইস্যুতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাকরনের মন্তব্যে নতুন করে ছড়ালো উত্তেজনা। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ইউরোপীয় নেতাদের এক কনফারেন্সে ম্যাকরনের কথায় ছিল, কিয়েভে সেনা পাঠানোর ইঙ্গিত। পাল্টা জবাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের দাবি, ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশের সেনা ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করার অর্থ হবে রাশিয়ার সাথে ন্যাটোর সরাসরি সংঘাত। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা এপি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েকমাস ধরেই রাশিয়ার জোরালো হামলায় কোণঠাসা ইউক্রেন। পশ্চিমাদের পর্যাপ্ত সহায়তার অভাবে যুদ্ধে পরাজয়ের শঙ্কাতে দেশটি। এমন যখন পরিস্থিতি তখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে একত্রিত হলেন ইউরোপীয় নেতারা; প্যারিসে করলেন বৈঠক।

সোমবার প্যারিস কনফারেন্সে কিয়েভকে সহায়তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। ইউরোপের বাইরে থেকে কিয়েভের জন্য অস্ত্র সংগ্রহে চেক প্রজাতন্ত্রের উদ্যোগে যোগ দেয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডসসহ বেশকয়েকটি দেশ। তবে, সব ছাপিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকরনের মন্তব্য।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাকরন বলেছেন, বৈঠকে চলমান যুদ্ধে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি। তবে, কোনো সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। আমি আগেও কখনও বলিনি, যে ফ্রান্স ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর বিপক্ষে। এই যুদ্ধে রাশিয়া যাতে জিততে না পারে তারজন্য আমরা সবকিছুই করবো।

যুদ্ধের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সদস্যরা, কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। বিভিন্ন দেশের ভাড়াটে সেনারা অর্থের বিনিময়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিলেও, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে কোনো সেনা পাঠানো হয়নি।ক্রেমলিনের সতর্কবার্ত- সামরিক জোটটির কোনো সদস্য সেনা পাঠালে তা সরাসরি রুশ-ন্যাটো সংঘাত হিসেবে বিবেচনা করবে মস্কো।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো থেকে ইউক্রেনে সৈন্য দল পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে তা গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। অস্ত্রসহায়তাসহ অন্য যেসব বিষয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট কথা বলেছেন সেগুলো নানাভাবে আগেও বলা হয়েছে। তবে, সেনা পাঠানোর বিষয়টি এবারই প্রথম শুনলাম। প্যারিসের বৈঠকে এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা দেশগুলোকে সতর্ক করতে চাই। যুদ্ধক্ষেত্রে এ ধরণের সম্পৃক্ততা সংঘাতে তাদের সরাসরি জড়িত করবে। উল্লেখ্য, প্যারিসের এই সম্মেলনে ইউরোপের অন্তত ২০ জন নেতা অংশ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *