মিথুন কর্মকার , আমতলী বরগুনা।
বসতবাড়ি নির্মাণ করার স্বপ্ন থাকে সমাজের সকল পেশার মানুষের। কিন্তুু সে স্বপ্ন পূরণ হয়না অসহায় জলতুন নেছার। বলছিলাম বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা জলতুন (৪০) এর কথা।
সরজমিনে দেখা যায়, পুরাতন শাড়ি আর ভাঙাচোরা কিছু টিনে জোড়াতালি দেয়া ঘরের বেড়া, মরিচাধরা টিনের চালায় পলিথিনের ছাউনি। জীর্ণ এ ঘরে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস জলতুনের। স্বামীহারা জলতুন পৈতৃক সীমানার মধ্যে বাকপ্রতিবন্ধী বড় ভাইয়ের জরাজীর্ণ ঘরে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই জলতুনের। বেঁচে থাকার তাগিয়ে বেছে নেয় ভিক্ষাবৃত্তি। একটি কুঁড়েরঘর নির্মাণ করার আর্থিক সামর্থ্য নেই তার। একটু আশ্রয় পাওয়ার জন্য জলতুন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিফল হয়েছেন। অকালে স্বামী মারা যাওয়ার পর সংসারে নেমে আসে অন্ধকার। অসহায়ত্ব ও চোখের জলে সারাক্ষণই অভাবের চিহ্ন লেগেই থাকে। একটি ঘর তৈরির জন্য সমাজের বিত্তবান ও সরকারের কাছে আকুতি জানিয়েছেন অসহায় জলতুন নেছা।
জলতুন নেছা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ভিক্ষা করে যা আনি, তাই খাই! ঘর তুলমু কি দিয়া। জন্মের পর থেকে কোনো দিন সুখের মুখ দেখেনি।
আমি বর্তমান সরকারের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ কিংবা সমাজের দানশীল ব্যক্তির কাছে একটি ঘরের মিনতি করছি ।
ইসলাম সব সময় ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয়। অসহায় অসচ্ছল মানুষের সেবায় এগিয়ে আসা ইসলামে অন্যতম ইবাদত। আল্লাহ যাকে অর্থ-সম্পদ দিয়েছেন তিনি সে সম্পদ থেকে অভাবী মানুষকে সাহায্য করলে তাতে আল্লাহতায়ালা খুশি হন।
এ ধরনের মানবিক কর্তব্য পালন রাত জেগে অবিরাম নফল নামাজ আদায় ও অবিরত নফল রোজার সমতুল্য।
মোসা. জলতুন
বিকাশ নাম্বার 01705367424