অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
বুধবার (২৩ মে) রাতে এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশের বিষয়ে নতুন এ ভিসা নীতি ঘোষণা করেছেন তিনি।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারায় একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য যারা দায়ী বা জড়িত থাকবে সেসব বাংলাদেশিদের ভিসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এর আওতায় বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য ,আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিসেবার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার এবং আসন্ন নির্বাচন কেউ যেন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি সহায়ক হবে বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার এবং আসন্ন নির্বাচন কেউ যেন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি সহায়ক হবে বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা।
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা হাসান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, আমরা মনে করি এই নীতি সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করা হলে বাংলাদেশে আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন দেখতে পাবো।
নতুন নীতির আওতায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মাসুদুর রহমান বলেন, যারা জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে তাদের জন্য এই ভিসা নীতি একটি অশনি সংকেত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের এই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী বলেও মনে করেন প্রবাসীরা।
এর আগে, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার উসকানিমূলক মন্তব্যের নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স প্রধান শন জে ম্যাকিনটোশ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নামে বিরোধী নেতারা যা বলছেন, এমন উত্তেজনাকর ভাষা, ভীতি প্রদর্শন বা সহিংসতার হুমকির নিন্দা আগামীতেও জানাবে ওয়াশিংটন