কিন্ডারগার্ডেন নামক প্রাইভেট স্কুল অনিয়ম কতৃপক্ষ বিরব।

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
দেশের সকল স্থরেই চলছে দুর্নীতি অনিয়ম প্রতারণা।অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ছাত্রজনতার উত্তালের মধ্যে দিয়ে নতুন একটি বাংলাদেশ আবিষ্কার হয়েছে।৫ই আগষ্টে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর চলছে দেশ সংস্কারের কাজ। শিক্ষা চিকিৎসা খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান সহ সকল অধিকার সহজিকরণ ও নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা।দেশের মানুষ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিলেও বন্ধ করছেনা নিজেদের অপরাধ অনিয়ম দুর্নীতি।যেখানে জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় জীবন বাচানোই দুষ্কর সেখানে চিকিৎসা ও শিক্ষাখাতে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম।

অভিযোগ রয়েছে একজন চিকিৎসক সরকারি প্রতিষ্ঠানে নামমাত্র দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভুক্তভোগী রোগীদের ভালো চিকিৎসার প্রলোভন দিয়ে পছন্দসই প্রাইভেট ক্লিনিকে রেফার্ড করেন অতঃপর হাতিয়ে নেন অর্থ,তাতে নিঃস্ব হয় ভুক্তভোগী পরিবার।

একই কায়দায় কিন্ডারগার্ডেন নামক প্রাইভেট স্কুল গুলো শিক্ষার্থী অভিভাবকদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ নিরুপায় হয়ে মেনে নিতে হচ্ছে।

একই স্কুলের শিক্ষার্থীদের নতুন ক্লাসে ওঠায় বছর বছর এডমিশনের নামে মোটা অংকের অর্জথ হাতিয়ে নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ জরিমানা গুনতে হচ্ছে অভিভাবকদের।সেই সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত মাসিক বেতন দেড় থেকে দুই হাজার টাকা সহ প্রাইভেট টিউশনের নামেও অর্থ গুনতে হয় অভিভাবকদের।শিক্ষকদের চাপিয়ে দেওয়া নিয়ম মেনে না নিলে ভালো রেজাল্ট থেকে বঞ্চিত হওয়ার ভয় দেখানো হয়।

কিছুদিন পরপর টেষ্ট পরিক্ষার নামেও প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ।শুধু তাই নয় স্কুলপার্টি,ক্লাসপার্টি সহ থাকছে নানা রকম আয়োজন।নিম্ন আয়ের মানুষদের একটি সন্তানকে স্কুলে পড়াতে হিমশিম খেতে হয় যেনো এক ভয়ংকর বোঝা।
সরকারের কাছে দাবি অতিদ্রুত কিন্ডারগার্টেন ও প্রাইভেট ক্লিনিকের অনিয়ম বন্ধের উদ্যোগ গ্রহন করে শিক্ষা চিকিৎসার মান উন্নয়ন করা।

রাজধানীর বনশ্রী এলাকার কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ঘুরে পাওয়া যায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ।
এভাবে আর চলতে পারেনা মানুষ চায় তার মৌলিক অধিকার সহজ হোক,নিত্য জিনিসের মূল্য থাকুক হাতের নাগালে,বন্ধ হোক চিকিৎসা সেবায় প্রতারণা,শিক্ষায় ফিরে আসুক স্বস্তি,দুর হোক নিরক্ষরতা।

বাঙালী চায় নতুন একটি বাংলাদেশ এগিয়ে যাক বিশ্ব দরবারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *