আন্তর্জাতিক ডেস্ক:সুদানে চলমান অস্ত্রবিরতির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়েছে লড়াইরত সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সোমবার (২৯ মে) পাঁচদিনের অস্ত্রবিরতি ঘোষণা দেয়া হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এই সংঘাতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষ বেশ কয়েকবার অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছে। কিন্তু কোনো অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়নি। সবশেষ গত সপ্তাহে আরও একটি অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা হয়। সোমবার (২৯ মে) অস্ত্রবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তার আগে গত রোববার (২৮ মে) দুই আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারী সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষকে কার্যকর অস্ত্রবিরতি ঘোষণার আহ্বান জানায়। অবশেষে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আরও পাঁচদিনের জন্য অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছে সেনা ও আরএসএফ।
তবে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা হলেও তা কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে আগের মতোই সন্দেহ থেকে যাচ্ছে। এএফপির প্রতিবেদনে মতে, সোমবার (২৯ মে) সকালেও রাজধানী খার্তুমের উত্তরাঞ্চলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত রাজধানী খার্তুমের ঠিক পাশেই অবস্থিত দারফুরে নাগরিকদের অস্ত্র হাতে নেয়ার বার্তা দেয়া হয়েছে। দারফুরের গভর্নর স্থানীয় মানুষদের এই নির্দেশ দিয়েছেন।
গভর্নর মিনি মিন্নাউই টুইটারে লিখেছেন, পুরুষ-নারী, বৃদ্ধ-যুবক নির্বিশেষে সকলের কাছে অনুরোধ, আপনারা অস্ত্র ধরুন। নিজেদের বাসস্থান রক্ষা করুন। দুই দশক আগে আমরা দেখেছি কীভাবে দারফুরকে শ্মশানে পরিণত করা হয়েছিল। আর তা হতে দেয়া যাবে না।
দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে আধাসামরিক গোষ্ঠীর যোদ্ধারা। এর মধ্যে জানজওয়াইদ জঙ্গি গোষ্ঠীর যোদ্ধারাও যোগ দিয়েছে বলে অভিযোগ। আরবের জনজাতি গোষ্ঠীর অন্তর্গত এই যোদ্ধারা ২০০৩ সালে দারফুর যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল।
সে সময় গোটা দারফুরকে কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত করা হয়েছিল। সেই স্মৃতিই মনে করিয়ে দিয়েছেন গভর্নর। দেশের সেনাবাহিনীকে সমর্থনের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।