কোরবানির পশু গো-খাদ্যের চড়া দামে বিপাকে খামারিরা

নিজস্ব প্রতিবেদন: ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সিরাজগঞ্জের খামারিরা। কাঁচা ঘাস, খড়, ভুসি, ডালের গুঁড়া ও খৈলসহ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ চলছে। তবে গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় কিছুটা বিপাকে তারা।

ঈদুল আজহা সামনে রেখে সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার খামারিরা বিপুল পরিমাণ ষাঁড় প্রস্তুত করছেন। সবুজ ঘাস, খড়, বিভিন্ন প্রকারের ভুসি, ডালের গুঁড়া, খৈল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে ষাঁড় মোটাতাজা করেছেন তারা।

পরিমিত খাবার, গরুর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি পরিচর্যার মাধ্যমে প্রতিটি গরু স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠেছে। আর এসব গবাদি পশু জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হবে দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
 
তবে গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় প্রান্তিক খামারিরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত। তাই ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু আমদানি বন্ধের দাবি তাদের।
 
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের আরাভ অ্যাগ্রোর ম্যানেজার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় আমাদের গরু পালনে খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এতে এ বছর খুব একটা লাভ হবে না। আমাদের মতো প্রান্তিক খামারি থাকার পরও ভারত থেকে গরু আমদানি হলে আমরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ব।’
 
এদিকে গবাদি পশু মোটা তাজা করতে খামারিদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গৌরাংগ কুমার তালুকদার। তিনি বলেন, গবাদি পশু মোটাতাজা করতে খামারিদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে গবাদি পশুর বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
 
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় প্রায় ২ লাখ গরু, ১ লাখ ৫৫ হাজার ছাগল, ৬০ হাজার ভেড়াসহ প্রায় ৪ লাখ গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *