গবেষণা দেখানো বা শুনানোর জায়গা নেই ! বুয়েট অধ্যাপক

নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইশরাত বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাজ গবেষণা করা এবং তা প্রকাশ করা; যার প্রেক্ষিতে নীতিনির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। কিন্তু তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা যেসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করি তা সরকারের দায়িত্বশীলদের কাছে পৌঁছানো বা তাদের সামনে উপস্থাপন করার কোনো উপায় নেই।

‘ফলে যে যেভাবে পারছে পরিবেশ ধ্বংস করছে, ভবন নির্মাণ করছে, জলাশয় ভরাট করছে। কিন্তু এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কেউ জানছে না বা জানার চেষ্টা করছে না। আর আমরা যারা এসব বিষয়ে গবেষণা করছি, আমরাও সরকারের দায়িত্বশীলদের কাছে তা পৌঁছাতে পারছি না। সেই জায়গা আমাদের নেই।’ যোগ করেন অধ্যাপক ড. ইশরাত।


শনিবার (৩ মে) রাজধানীর প্ল্যানার্স টাওয়ারে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ‘২৮ বছরে রাজধানীর জলাধার ও সবুজ নিধন: বাস্তবতা ও উত্তরণের পথনকশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্থাপত্য অনুষদের ডিন বলেন, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য জলাধার প্রয়োজন, কিন্তু নির্বিচারে রাজধানীর জলাশয়গুলো ভরাট করা হয়েছে। সৃষ্টিকর্তার দেয়া এই জলাশয়গুলো তো আর আমরা পুনরায় তৈরি করতে পারবো না। তবে যেটুকু রয়েছে তা আমাদের রক্ষা করতেই হবে।
তিনি বলেন, আমাদের অসংখ্য জলাশয় এবং সবুজভূমি ভরাট করা হয়েছে। যারা দখল করছেন বা করছেন তাদের অনেক ক্ষমতা রয়েছে, তাদের বলার জায়গা রয়েছে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে বলার মতো আমাদের কোনো জায়গা নেই।

এর আগে মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, ‘সম্প্রতি তাপস তার বক্তব্যে বলেন, সুশীল সমাজ যদি কিছু বলতে আসে তবে তাদের ধোলাইখালের পঁচা পানিতে ডুবাবেন। কিন্তু তাপস কিন্তু ভুলেই গেছেন যে, ধোলাইখালে যেন পঁচা পানি না হয় সেটি তারই দায়িত্ব।’

সুলতানা কামাল বলেন, ‘দেশের কোনো সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে আমাদের বলা হয় আমরা কেন দায়িত্ব নিই না! আমি তাদের বলি আমরা তো দায়িত্ব নিতেই চাই। শুধু আমি না, এখানে উপস্থিত প্রত্যেকেই কিন্তু সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। আমরা কেউই সরকারের বিরোধী হয়ে কাজ করতে চাই না। আমরা যেসব সমালোচনা করি, তা সমালোচনার উদ্দেশ্য নিয়ে করা না, তা সম্পূর্ণ সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা রয়েছেন তাদের কাছে কোনো সমাধান চাইলে তারা যখন বলেন, আমরা কি করব! এটা শুনলে আমার খুব ভয় লাগে। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন হচ্ছে সবচেয়ে বড় মৌলিক শর্ত। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে দুষ্টের দমন করা। দুষ্টের দমন করার কাজ তো আর আমাদের না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *