আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুইডেনেও সামরিক জোট ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা হবে। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, সামরিক জোটের সদস্য না হলেও সুইডেনে ন্যাটো সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দেয়া হবে।
রাশিয়ার সীমান্ত ঘেষে পূর্ব ইউরোপের অন্তত ৮টি দেশে ১০ হাজার ন্যাটো সেনা মোতায়েন রয়েছে। দেশগুলো হলো এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়া।
এবার সেই তালিকায় যোগ হতে যাচ্ছে সুইডেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পল জনসন এরই মধ্যে ন্যাটো সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।
চলতি সপ্তাহে স্থানীয় পত্রিকা দাগেন্স নায়হেটারে লেখা এক যৌথ নিবন্ধে তারা বলেন, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সুইডিশ সেনাবাহিনী এখন থেকে ন্যাটো বাহিনী ও ন্যাটো দেশগুলোর সঙ্গে মিলে যুদ্ধ প্রস্তুতি নেবে।’
তারা আরও বলেন, ‘যৌথ সামরিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সুইডিশ ভূখণ্ডে বিদেশি সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম রাখার বিষয়টি থাকবে। এই সিদ্ধান্ত সুইডেনের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এটা রাশিয়ার জন্য একটা স্পষ্ট বার্তা।’
ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগদান করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় নিরাপত্তা হুমকি বিবেচনায় গত বছর দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপরই ন্যাটোয় যোদ দেয়ার আবেদন জানায় রাশিয়ার ঘরের কাছের দুই দেশ সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।
প্রায় এক বছর পর চলতি বছরের এপ্রিলে ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য দেশের মর্যাদা পেলেও পায়নি সুইডেন। জোটের দুই প্রভাবশালী দেশ তুরস্ক ও হাঙ্গেরির আপত্তির কারণে দেশটির সদস্য হওয়ার বিষয়টি ঝুলে আছে।
ন্যাটোর নীতি অনুযায়ী, ৩০ সদস্য দেশের প্রত্যেককেই নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন দিতে হবে। সদস্য হলেও এখনও তাদের দেশে ন্যাটো সেনা মোতায়েনের বিষয়টি অনুমোদন দেয়নি ফিনল্যান্ড।